সাগরে ভাসছে জীবনতরী
দাঁড় বেয়ে চলছি জন্মলগ্ন থেকে
অপলকে দেখেছি একটু আগে চারিদিক অন্ধকার
আশার আলো একখণ্ড মেঘে ঢাকা, পাইনি তার দেখা।
দেখেছি কতগুলো রাতের তারা জ্বলছিল মিটিমিটি
স্বাতী নক্ষত্রে সাগরে ভাসমান সুক্তিদের মতো
ফোঁটা ফোঁটা বারিবিন্দুর অপেক্ষায়।
হায় রে, এ বিষয়ে আকাশের যেন নেই দায়।
সাগর ও শান্ত হলো কৈ?
প্রবল ভাঁটার টানে সামনে এগোনো কষ্টকর
তীরের দিকে এগোতে গিয়ে
দরদর করে অনর্গল ঝরলো ঘাম
অনুভূত হলো দেহ মন চাইছে একটু বিশ্রাম,
তবু কষ্ট সহ্য না-করে উপায় কী?
তীরে পৌঁছতে যে এখনও বাকি,
শরীরের ক্লান্তি ঝরাতে একটু ঢিলেমি দিলে
বল্গা হরিণের মতো ভাঁটার টানে
জীবনতরী পিছিয়ে কোথায় পৌঁছবে, কে জানে?
সেও ভেবেছি, কালস্রোতে নৌ হারিয়ে যাবে নাকি?
ভরাডুবি হতেও পারে, বৈকি!
দেখি, রাতের কালপুরুষ যোগালো সাহস
সে যেন বলছে, যদিও এখনো কাল রাতি
তার অবসান হতে আর অল্প একটু বাকি
চেয়ে দেখো, পূর্ব দিগন্তের দিকে
ক্রমাগত কাটছে অন্ধকার
আশার আলো এখনও জ্বলছে আদালতে
হাল আলগা করে রেখো না মোটে
জানি না, বরাতে আছে কী?
দেখছি আশার বাতি যেন জ্বলছে মিটিমিটি।