সূর্যাস্তের পর সেই যে ব্ল্যাকআউট
হলো তারপর এ শহরটায় আলো
জ্বললো না আর।সারারাত কাটলো
অন্ধকারে।সেই অবসরে বংশবিস্তার
হলো শ্যাওলার।উপায় নেই সামনে
পা ফেলার।চারিদিকে আনাগোনাও
বেড়েছে ইঁদুর,আরশোলার।
দেশ রক্ষার দায়ভার কাঁধে নিয়ে
কীটপতঙ্গরা যেন নেমেছে শহরের
রাজপথে।দেখেছি,সব পথঘাটগুলি
এখন লাল,কালো নানান ধরনের
অজস্র পিপীলিকার দখলে।মিছিলে
রাজপথ ঢেকেছে সাথে সাথে।
এই কীটপতঙ্গদের এখন করোনায়
সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটা
জানা নাই,তবে বাতাসে কানপেতে
শুনেছি তাদেরও মানব বোমার
মতো হতে বাধা নাই।
এদিকে ঘুমকাতুরে শহরটা এখনও
নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে অকাতরে।
হয়তো ভুলে গেছে রাত পোহালে
এ শহরেই শুরু হবে পূজাপার্বণ।
ঢাকিরা বাদ্যি বাজাবে।
বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েরা জুড়বে
ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আবদার।
যতই চেষ্টা করুন তখন তাদের
প্রতিহত করার থাকবে না উপায়।
দেখবেন,পথে নামবে জন-জোয়ার।
কে করবে সব জনগণকে সুষ্ঠভাবে
নিয়ন্ত্রণ?এতোটাই সহজ নাকি?বলি,
মানুষে মানুষে ধাক্কাধাক্কি হবে যখন
তখন।
তাই মাস্ক পড়ে আর স্যানিটাইজার
সাথে নিয়ে আরাধ্য দেবতার নাম
জপ করতে করতে ঠাকুর দেখতে
বেরিয়ে পড়ুন।করোনার সংক্রমণের
দায় কাঁধে নিয়ে বিধাতাকে জাগতে
বলবেন অষ্টপ্রহর।