গভীর রাত,
স্বপনে দেখেছি তোমাকে শ্মশানের আবহে,
'চারিদিকে দাউ দাউ করে
ক্রমাগত জ্বলছে অজস্র শবদেহ
বাতাসে বিকট রক্ত মাংস পোড়া গন্ধ
কতিপয় চণ্ডাল এ কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত
অদূরে কতিপয় মাদকাসক্ত চণ্ডাল
গায়ে চিতাভস্ম দেখে করছে তাণ্ডব নৃত্য।
বহমান কাল স্রোতে ভগ্ন তরণীতে বসে
বিপন্ন সন্তানহারা ধরণী দেখছে
নিষাদ দের করাল গ্রাসে হারিয়ে প্রাণের অস্তিত্ব
তার সন্তানদের মরদেহ ক্রমাগত হচ্ছে ভষ্মীভূত।
এ দৃশ্য দেখে তার মর্মস্থল ধু-ধু মরুভূমি সাহারা,
গণ্ডদেশ বেয়ে ক্রমাগত ঝরছে অশ্রু ধারা।
হায় রে, এ কী দুঃসময়!
ওরা দু'দণ্ড ও কাউকে স্বস্তিতে থাকতে দিলো না।
কেন যে ধরণীকে এ-দৃশ্য দেখতে হচ্ছে, কী জানি?
আকাশে মেঘ-পুঞ্জের বুক চিরে দেখা দিচ্ছে অশনি
বাতাসে তারই বিষাদের ধ্বনি।
এ প্রতিকূল পরিবেশে ধরাশায়ী হয়ে হৃদয় বেদনায়
বুক চেপে ধরেছি যন্ত্রণায়
তবুও সইতে না পেরে বিছানায় উঠে বসেছি।
স্বস্তি? -সেকি জোটে না থাকলে বরাতে?
ক্রমাগত অনুভূত হলো
ধপাস ধপাস করে ভাঙছে হৃদয়ের কূল
পাড় ভাঙ্গার সে শব্দ সইতে না পেরে
বলেছি চন্ডালদের,'তোরা থাম, এবার',
দুর্ভাগ্য! বাদকদের কর্মকাণ্ড থামানো দুরস্ত
বাদ্য বাজাল জোরে, আরও জোরে।
নিদ্রাহীন, ভেবেছি কী করি এ দুঃসময়ে?
অগত্যা বেদনার রং নিয়ে ক্যানভাসে
আঁকতে চেষ্টা করেছি তোমাকে, বিষন্ন সুন্দর।
কি জানি কী দাঁড়ালো?
তারপরও রাত্রি অবসানের লক্ষণ দেখি না।
জানতে ইচ্ছা হয়, নির্ঘুম রাত কাটাবো আর কত?
উত্তর খুঁজেছি চেতনার জগতে,
'এ রাত এতো দীর্ঘ কেন?'
দুর্ভাগ্য! সে উত্তর পাইনি এখনোও।