গ্রীষ্মে হইনি এহেন কাবু
যেমন হয়েছি বরষাতে
তাপপ্রবাহ এসেছে ধেয়ে
সদ্য-জাগ্রত প্রভাতে।
আষাঢ়ে বিরল তাপপ্রবাহ
হারিয়ে দিয়েছে গ্রীষ্মকে
পাখিরা খাদ্য-সন্ধান ছেড়ে
হাঁপায় বৃক্ষের শাঁখে।
পশুরা মাঠ-প্রান্তরে নহে
কাটায় পানা-পুকুরে
সরীসৃপেরা বাঁচিবার তরে
ফিরেছে নিজ গহ্বরে।
পিপীলিকারা ব্যস্ত নহে
খাদ্য মজুতের তাগিদে
বৃক্ষরাজি ঝিমিয়ে পড়েছে
ক্লান্ত-শরীরে অবসাদে।
ছেলেমেয়েরা গৃহে বসে
চেয়ে আছে বাহিরে
ছেড়েছে স্কুল যাওয়া
দূর্বার হলকা দুয়ারে।
গৃহিণীরা অসহ্য তাপে
রাঁধেন নিত্য পাকশালে
ঘাম-ঝরা চোখ-মুখ
মোছেন শাড়ির আঁচলে।
ঋতুরঙ্গের চরিত্র বদলেছে
বরষণ নাহি আষাঢ়ে
তারি আহ্বানে মসজিদে
ফকিরেরা দোয়া করে।
পূজারিরা পূজাতে ব্যস্ত
আহ্বান করে বরষাকে
সগর্বে ফেরাতে চাই
স্নেহময়ী জননীকে।
প্রত্যহ বিকালে দেখি
তড়িতের ঝলকানি
তবুও অসহনীয় দহন
উষ্ণ-বায়ুর হলকানি।
শীতলতার খোঁজ নাই
বহিছে শুধু তাপপ্রবাহ
জটিলতর হবে বুঝি
সবার জীবন নির্বাহ।