কাঁকুড়ে মাটিতে জীবনের শুরু
বজ্রগর্ভ মেঘ ডাকল গুরুগুরু।
চারদিকে বইল বিষাক্ত বাতাস
তবু অন্তরে বাঁচার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
সমগ্র শরীরটা কাঁপল বারংবার
সংগ্রামে বাঁচবে একান্ত বিশ্বাস।
অশেষ কষ্টে মূল গেল গভীরে
একটু খাদ্যরস যোগাতে শরীরে।
শাখা-প্রশাখা দেখেছে আকাশ
পত্রাদির অন্তরে সরল বিশ্বাস।
পুষ্পের কুঁড়িও গজাল শেষে
অপঘাতে মৃত্যু কভু ভেবেছে?
দেখালে সামর্থ্য আছে কতটা
ভোলার নয় তোমার দক্ষতা।
চূড়ায় গিয়েও সাফল্য অধরা
অজ্ঞাত পিছু টানে দিশেহারা।
বাজিকরের নিদ্রা ভাঙ্গান দায়
অনশন প্রতিবাদও বৃথা যায়।
দুখিনী অপুষ্টিতে কুঁড়ি ঝরালে
জীবনটাও যাবে কি অস্তাচলে?