বিগত ক’বছর
সন্ধ্যায় বাজে না শাঁখ এ ভগ্ন মন্দিরে।
রাখ ঢাক না-করে বলতে হয় মনে হয়
এ মন্দিরের ‘সুসময়’ চলে গেছে।
বললো কাকাতুয়া সে শুনেছে লোকে
করছে বলাবলি, ‘অত্যাচারী শাসকের  
ভয়ে ‘সুসময়’ নাকি শতবর্ষে এ-মুখো
হবে না’-এ মুচলেকা দিয়ে গেছে।
সে সময় থেকে পূজারির মনেও নাকি
হলো মানসিক ব্যাধি আর তখন থেকে
সেও নাকি মন্দিরে আসে না জ্বালাতে
সান্ধ্য-প্রদীপ।
সে কারণে এখন মন্দির থেকে পূজারির
‘ওঁ শান্তি’ শব্দ গুচ্ছ কানে আসে না।
নানান মুনির নানান মত। পাখি বললো,
লোকজন করছিল বলাবলি, ‘মনে হয়
বাঘের ভয়ে ‘শান্তি’ হরিণের মতো ছুটে
পালালো কোথাও’।
সে রাতে স্বপ্নে বিভোর হয়ে কে নাকি
দেখেছে যে সময় ‘শান্তি’ ছুটে পালালো  
তার শরীরে ছিল বাঘের নখের ভয়ানক
আঁচড়।
খর খর করছে মনে। ভাবছি বৈকি তবে
কি ‘শান্তি’ ক্ষতবিক্ষত হয়ে সুযোগ বুঝে
পালালো অকস্মাৎ।