সুবোধ সন্তানের মতো এক সভ্যতা
জননী গঙ্গার হাত ধরে পা বাড়িয়ে
চলছে বহুকাল আগে থেকে।জানি না
তার গতিপথ বদলানো কতটা সহজ
সুদীর্ঘ খাল কেটে।
নিশুতি রাতে প্যাঁচার ডাকে শুনেছি
কটাল বান এসে অবলীলায় ভাঙ্গছে
খালের ধার।
চারিদিকে ঘন অন্ধকার,এক বিশাল
চাঁই জোড় আওয়াজ করে দ্বিতীয়ার
চাঁদের মতো অবয়বে ধসে পড়েছে
উল্লাসে এই নবজাতকের বুকে।
সাঁতার কাটতে অপারগ রা,হাবুডুবু
খেল।অবাধ্য স্রোতে খড়-কুটো দের
মতো ভেসে ভেসে অবশেষে তাদের
শবদেহ সেই বাঁকে এসে ঠেকলো।
শবের গন্ধে মাতাল অরণ্যবাসী ধূর্ত
শৃগালরা ভুঁড়িভোজ মেটানোর লাগি
অতিশয় উৎসাহে সদলে ছুটে আসে
দেখে শব গুলো ঈগলের দখলে।
ওরা দম্ভের মিনার থেকে উড়ে এসে
শব দেহ আগলে বসে ধারালো নখে
শব দের কণ্ঠনালী ছিঁড়ছে উল্লাসে।
গন্তব্য স্থলে গিয়ে ভুরিভোজে অপারগ
গগন-ভেদী চিৎকার জুড়ে দিয়ে ব্যর্থ
মনোরথে অরণ্যে ফিরে গেল শেষে।