হয়তো বলা ভালো
প্রতারক শিল্পপতি মজেছিল ব্যবসায়
আধিপত্য বিস্তারের নেশায়। শোনা যায়
ছড়ালো প্রতারণার জাল। ব্যবসায় শেয়ার
বেচাকেনায় দরে করলো কারচুপি।
গাণিতিক হিসাবে ব্যাপক বিয়াদপি করায়
অচিরেই ফুলে ফেঁপে উঠলো তার অর্থের
পাহাড়।
বদলালো বাস্তব পরিস্থিতি। স্বস্তির নিঃশ্বাস
ফেললো কোকিল। লোকে বলে পাখি সেই
গাণিতিক হিসাব সত্যি ধরে বসন্ত আসছে
ভেবে আনন্দে কুহু কুহু ডেকে উঠলো।
অগাধ আস্থাও দেখালো শিল্পপতির উপর।
তার মাথায় আশীর্বাদের হাত, সেও রাখলো।
জানা গেল, কোনও একটি সমীক্ষা রিপোর্ট
সত্যি ঘটনা তুলে ধরলো। তাতে কী?
দেখেছি দেশের সাধারণ জনগণের সঞ্চিত
অর্থ কতটা সুরক্ষিত সেটাই হয়ে দাঁড়ালো
প্রশ্নের মুখোমুখি।
শোনা যায় তারা তাদের সঞ্চিত অর্থ যেসব
অর্থ-লগ্নীকারী সংস্থাদের কাছে রেখেছিল
গচ্ছিত সেসব তার হাতে সহজেই পৌঁছে
গেল।  
এ কথাও শোনা যায় বণিকমশাই সে অর্থ
ঋণ নিয়ে নাকি বিনিয়োগ করলো শিল্প
ও বাণিজ্য খাতে।
দেখছো আকাশ ঢাকছে মেঘে। কে জানে
বরাতে আছে কী? পরিস্থিতি ভয়াবহ। মনে
হয় সুনামী আসতে পারে। শিয়রে হয়তো
সংকট।
এখন ‘ক্রেডিট সাইট’ এর সমীক্ষা রিপোর্ট
দেখলেই চমকে ওঠার অবস্থা। জানা গেল
বাস্তবে শিল্পপতির ব্যাপক আর্থিক দেনা।
তার এমনি বেহাল দশা এখন ডুবছে যেন
চাঁদসদাগরের মতো তার বাণিজ্যতরী।
হিন্ডেরবার্গ রিসার্চ’ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসা
মাত্র শেয়ার বাজার হলো উত্তাল। এখন যা
জটিল পরিস্থিতি তার ব্যবসায় সব শেয়ারে
নেমেছে ধস।
কে জানে ঘটবে কি আরও বিপর্যয়!