বটেই তো
সূত্র তো এক দু’টি নয়, রাশি রাশি!
যখন হু হু করে বইলো হাওয়া সেসব
থাকেনি সমান্তরাল ও পাশাপাশি।
উড়নচণ্ডীগুলো উড়ে এসে মিললো এক
জায়গায়। বুঝলে সেসময় এদেরকে
সামলে রাখা দায়।
সেই ভাবনায় এদের সামলে রাখতে
হাতের মুঠোয় ধরলে একসাথে।
তোমার উদ্ভাবনীয় শক্তি আছে বটে।
সূত্রগুলো যেন খুলে না বেরিয়ে যায়
সেজন্য ওদের হাতের চেটোতে ধরে
শক্ত করে গিঁটও এঁটে দিলে।
ভাবলে সূত্রগুলো বয়ে আনলে তথ্যাদি
গিঁটে এসে মিলবে। তখন তথ্যপ্রযুক্তির
কাজেও সুবিধা হবে।
তবে একথা ভাবলে না কখনো বাঁধে
যদি গোল, রসদে ভারী সে গিঁট হয়ে
হাত বদল যদি পৌঁছয় শার্লক হোমের
মতো দুধে গোয়েন্দাদের হাতে তখন
চারদিকে শুরু হবে সোরগোল।
বাউলেরা বাজিয়ে মাদল তখন গাইবে  
দেশাত্মবোধক গান।
বজ্রগর্ভ মেঘে ঢাকলে আকাশ, মেঘের
গুম গুম করে শব্দ হলে সেই সময় কে,
ভয়ডর উপেক্ষা করে তোমাকে সুরক্ষা
দিতে হবে আগুয়ান?
দেখছি, যা ভেবেছি হলোও ঠিক তাই।
এ গিঁট এখন দুধে গোয়েন্দাদের হাতে।
ভবের হাটে বসে তারা এখন এই গিঁট
খুলতে ব্যস্ত।
গিঁটের মুটিতে ধরে যেভাবে সজোরে
করছে নাড়াচাড়া, বলতে হয় এ কাজ
দায়সারা নয় ।
বলছে প্রত্যক্ষদর্শীরা গিঁট নাকি এখন
হয়েছে আলগা। আর গুটিকয় ঝাঁকুনি
দিলে গিঁট খুলে সব সূত্রগুলো বেরিয়ে
আসবে। তথ্যভাণ্ডার ও তখন তাদের
হাতে পৌঁছবে।
বলছে বিজ্ঞরা গিঁট খুললে নাকি কালো
বিড়ালের মতো কত কী বেরিয়ে আসতে
পারে।