কি জানি, চাঁদ কি বিপাকে পড়েছে!
শুনি গ্রহণ লেগেছে, রাহু নাকি তাকে গ্রাস করেছে?
পৌরাণিক কাহিনী নাইবা হলো যথার্থ
একথা সত্য আঁধারের ঘোমটায় চাঁদ মুখ ঢেকেছে।
তার অপরূপ রূপের বাহার? -সেও মিইয়ে গেছে
লোকে এই দৃশ্যপট পরিবর্তন দেখতে বসে পড়েছে।
এ কথাও বলছে, কে জানে এই গ্রহণ কাটবে কখন!
বহু দর্শক সেটাই জরিপ করতেও বসে রয়েছে।
বলছে দিদা দাওয়ায় বসে, ‘স্বরভানু, জেগে আছিস?
ও অসুর, বেশ তো লুকিয়ে অমৃত পান করেছিস
ভেবেছিস এবার তোর অমরত্ব লাভ রুখবে কে?
তোর ইচ্ছাপূরণ হলো কি? সেটি লাভ করেছিস?
হলো না? তোর ইচ্ছাপূরণে কে বা কারা বাদ সেধেছে?
লুকিয়ে এ কাজ করলি যখন সূর্য চন্দ্র তোকে চিনেছে।
শুনবি, ঠিক তখনি তড়িঘড়ি তারা করেছে কী?
ভগবান বিষ্ণুকে সেকথা জানিয়েও এসেছে’।
বিষ্ণু জানে, এ কাণ্ড ঘটলে স্বর্গমর্ত বাঁচাবে কে?
অমৃত গিলে ফেললে তোকে আর রুখবে কে?
তুই স্বর্গমর্তে কত কী তুঘলকি কাণ্ড ঘটাবি!
এই বিপদ থেকে স্বর্গমর্ত রক্ষা করতে হবে তাকে।
এই ভেবে অমৃত গিলে ফেলার আগেই করলো কী?
তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে আছে নাকি?
সেটি দিয়ে তোর ধড় থেকে মুণ্ডু ছিন্ন করেছে নাকি?
তোর অমরত্ব লাভের আশা আর জিইয়ে রেখেছে কি?
রাহু, সেই কারণে কি তুই এতো রেগে আছিস
সূর্য ও চন্দ্রের প্রতি বিদ্বেষ পুষে রেখেছিস?
দেখছি তাই সুযোগ পেয়ে
ওদেরকে গ্রাস করতেও নেমে পড়েছিস।
কিন্তু হলো কী, তোর গলা কাটা পড়লো নাকি?
ওদের গিলে খাবি সেই সামর্থ্য আছে কি?
চাঁদ কিবা সূর্যকে গিলে খেতে গেলে
ওরা তোর কাটা গ্রীবা দিয়ে বেরিয়ে আসে নাকি?
    
      (পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে)