কে তুমি
নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঘুমকাতুরে এই
বাবুমশাই?
যাই বলো, বাজিয়ে ভোট পর্বের ঘণ্টা  
সেই যে ঘুমতে গেলে কোমল শয্যায়,
বেশ তো রাত কাটালে সুখ নিদ্রায়।
কুম্ভকর্ণের মতো কাটালে ঘুমে। ভোরে
ঘুম পাহাড়ে যখন সূর্যোদয় হলো সেই
দৃশ্য একবার ও চোখ মেলে দেখলে না।
একটু নড়েচড়ে বিছানায় শুয়ে রইলে
পাশ ফিরে।
হায় রে, বিধাতার এ কোন বিধি লিখন?
সাধারণ জনগণ আজ এ কোন দুর্ভোগের
মুখোমুখি? চারদিকে হচ্ছে কী?
সকাল হতেই বধ্যভূমি কে দখলে নেবে
সেই নিয়ে শুরু হলো যুযুধান দুই পক্ষে
যুদ্ধ। গুলিগোলা চললো ক্রমাগত। বোমা
ফাটলো অগণিত।
বাতাসে ছড়ালো বারুদের গন্ধ। বাতাস
ভারী হলো অনিয়ন্ত্রিত বোমাগুলির শব্দে।
থর থর করে কেঁপেও উঠলো বধ্যভূমির
মাটি।
ভীত ও সন্ত্রস্ত সাধারণ জনগণ ভাবছে
করবে কী? সাত পুরুষের ভিটে বাড়ি
ছেড়ে পালাতে পারবে নাকি?
সূর্য ঢলে পড়ছে দিগন্তে। তবু জনগণের
দুর্গতির শেষ হলো কি?
এই বধ্যভূমির মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে
অজস্র গুলিবিদ্ধ নয়তো বোমার আগুনে
ঝলসানো মরদেহ।
এ ভূমি রক্তে স্নাত। অদূরে দাউ দাউ
করে জ্বলছে চিতা।
বাবুমশাই, সারাদিন এতো কাণ্ড হলো,
তবুও তোমার ঘুম ভাঙলো না।
বেশ তো দিনটা কাটিয়ে দিলে ঘুমের
দেশে।