নরনারায়ণ সেবা কাজে ঘটেছে বিস্ময়কর ঘটনা
আদা ও কাঁচকলার বিবাদ তো সবারই জানা
ওদের এই বিবাদ, কে জানে, গড়াবে আর কতদূর!
সংকীর্ণ ধর্ম ও জাতিগত বিদ্বেষের মতো কাণ্ডখানা।
এই বিদ্বেষ বিষ নাকি অত্যন্ত গভীরে নিহিত
বলা দুষ্কর, কত গভীরে পৌঁছেছে সেই ক্ষত!
কী কারণে ওদের বিবাদ, বোঝাও দুষ্কর!
ওদের এই বিবাদ দেখে অনেকেই মর্মাহ্ত।
সেদিন পঞ্চব্যঞ্জন রাঁধতে গিয়ে রাধুনী করলেন কী!
সেকথা পাঁচ কান হলে সবাই ছিঃ ছিঃ করবে নাকি?
পঞ্চব্যঞ্জন রান্নায় আদা ও কাঁচকলা?
ভোগ পরিবেশনের সময় মাথা কুটতে হবে নাকি?
এ কাণ্ড শুনে বাবু মশাইয়ের শুরু হয়েছে গা জ্বালা
পরিবেশকদের মাথায় হাত, এরপর তাদেরি পালা।
খাবার পরিবেশনের সময় তাদের মুখে কুলুপ
কি জানি, খেতে বসে কে, কখন ধরাবে জ্বালা।
ভাবছে তারা সেই ভোগ কেউ মুখে তুলতে পারবে কি?
পরিবেশনের আগেই ক্ষমা চেয়ে নেবে নাকি?
বুকের ভিতর আশঙ্কার মেঘও জমেছে বেশ
ভয়, কেউ পাত ছেড়ে উঠে পড়লে করবে কী?
পরিবেশন কালে এক লহমায় উবে গেল দুর্ভাবনা,
বলছে সবাই ভোগ টা তো মন্দ না।
এমনি সুস্বাদু, গলা অবধি না খেয়ে পারি?
ভাবছেন বাবুমশাই, ভাণ্ডারে টান করবে কিনা।
বললেন রাধুনী, এমন মুখরোচক হলো কিসে?
চিরশত্রু আদা ও কাঁচকলায় ভাব জমিয়েছে?
ভাবছে নাকি সেইসাথে সাধ মেটাবে ষোল আনা?
তবে আমি আছি কেন? ঝাল মিশিয়ে দেবোই কষে।