তোমার কি মনে পড়ে সেই শৈশবে
মাতৃক্রোড়ে শুয়ে মুঠো দু’হাত খুলে
কিভাবে চাঁদকে ডেকেছিলে? কিংবা
সে সময় কিভাবে তার সাথে নিবিড়
বন্ধন গড়েছিলে,আছে কি স্মৃতিতে?
নতুবা ছড়া-ছন্দে জননী কিভাবে
চাঁদকে করতেন আহ্বান?
যাক গে সেকথা,এবার বলছি শোন,
হয়তো সেই নিবিড় সম্পর্কের কারণে
আমাদের নিয়ে চাঁদের ভাবনার যেন
শেষ নাই।দেখেছে সে বিস্ময়ে,আমরা
সকলেই আজও যেন জাবর কাটছি
এক বন্দিশালায়।ভুগছি খুবই জীবন
যন্ত্রণায়।
গত রাতে আকাশে দ্বিতীয়ার বাঁকা
চাঁদকে দেখে মনে হয়েছিল,সে যেন
ব্যঙ্গ করছে আমাকে দেখে।
কিছু বলতেও চাইছে ডেকে।আমি
কান পেতে ছিলাম তার ডাকের
অপেক্ষায়।না,তেমন কোনও ডাক
শুনিনি রাতে।
বিভ্রান্তিও ছিল কিনা সেও জানি না।
মনে হয়েছিল চাঁদ হয়তো জানতে
চাইছে একবিংশ শতাব্দীতে আমরা
কি প্রস্তুত প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা
নিতে?
তুমি কি করবে স্বীকার লিখিত
কিংবা অ-লিখিতভাবে অঙ্গীকারে
আবদ্ধ হয়ে সুশৃঙ্খল ভাবে চললে
হয় না স্বাধীনতার কোনও অঙ্গ
হানি।যতদূর জানি,আণুবীক্ষণিক
বস্তু থেকে গ্রহাণু পুঞ্জ সকলে যেন
স্বাধীন ভাবে চলছে বিশ্ব প্রকৃতির  
নিয়ম নীতি মেনে।
দেখেছি সকল বিভ্রান্তির জটাজাল
যেন এই মনুষ্য জগতে।সেই দেখে
হয়তো চাঁদ জানতে চাইছে,আমরা
কি স্বাধীন?হয়তো তার জিজ্ঞাসা
থাকতেও পারে স্বাধীন মানুষদের
ভাবনাগুলো কেন এতো পরাধীন?
কেন আজও বহু দেশে মনিবদের
ভুল সিদ্ধান্ত জেনে বুঝেও সেসব
সিদ্ধান্তকে মনিবের তল্পি বাহকের
মতো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে?অনেক
স্বাধীন দেশে  কেন আজও ব্যাপক
হত্যাকাণ্ড ঘটছে অহরহ?কেন যে
সাধারণ মানুষদের জীবন হচ্ছে
দুর্বিষহ?
ভাবছি,যে ট্র্যাডিশন বজায় ছিল
বহু কাল আগে,সে যেন আজও
চলছে সমানে।
উত্তরের খোঁজে একাকী সারারাত
জেগেও তার উত্তর মিলেনি।