হুলো আর মেনি-বিড়ালের
ঝগড়া শুনেই কি ভাবছো
মনে মনে? ভাবছো বুঝি,
ভেঙ্গে চুরমার হলো ওদের
সুখের সংসার আর তারা
মনো-ক্লেশে দু’জনে নদীর
দু’ধার দিয়ে বেয়ে চলছে
ওদের জীবন তরী?
সত্যি ঘটনা নীরবে বয়ে
চলছে অন্তঃসলিলা নদীর
মতো,তাই প্রকৃত ঘটনা
শোনো।
‘সেদিন সন্ধ্যারাতে সেই
উৎসবমুখর বাড়ি খানি
গণ্যমান্য অসংখ্য লোকে
লোকারণ্য।
বাড়ির গিন্নী সমস্ত কাজ
দেখাশোনায় ব্যস্ত।সুযোগ
সন্ধানী হুলো আর মেনি
তখন ভাঁড়ার ঘর থেকে
মাছ চুরি করেই উল্লাসে
মজলো ভারী।
ওরা চুরির সামগ্রী নিয়ে
ছুটে পালিয়ে গিয়ে বসলো
ঝোপঝাড়ে অন্ধকারে।
তারপর?কী আর বলবো
তোমাকে!দুর্ভোগ দুয়ারে।
মাছের ভাগ বাটোয়ারার
সময় চড়চড় করে যেন
বাড়তেই লাগলো ওদের
লালসার পারা।
শোনো,দূর থেকে ভেসে
আসা খর খর শব্দ শুনে
হকচকিয়ে উঠলো পড়শী
নিশি কান্ত।তারপর?টর্চের
আলো জ্বেলে দেখলো সে
মাছদের ভাগ বাটোয়ারা
নিয়ে চলছে ওদের মান
অভিমানের পালা।
এবার জানাজানির ভয়।
আর গিন্নীর রোষে পড়ে
হতে পারে জীবন সংশয়।
সেসব নিয়েই শুরু হলো
ওদের গা-জ্বালা।বলো,এই
অবস্থায় শলাপরামর্শ করে
যাত্রাপালায় অভিনয় করা
ছাড়া ওদের আর কোনো
গত্যন্তর আছে কি?
গিন্নীর মনে চোর সম্পর্কে
বিভ্রান্তি ছড়াতে ওদের এই
উদ্যোগ।
বলো,সত্য কি চাপা থাকে?
সত্যি ঘটনা সর্বত্র ছড়ালো
নিশিকান্তের মুখ থেকে।বলি,
এখন দেখার এর পরে কি
ঘটতে পারে!