দাব দাহ সহে তীব্র বৈশাখে
ওই অতি উচ্চ গম্বুজ থেকে
ক’জন দূরবীনে পরখ করে
চেয়ে থাকে ভাগারের দিকে।
মেঘের জটাজাল ভেদী গগনে
শকুনেরা সদা ওড়ে পাশাপাশি
ভাগারের দিকে অপলকে চাহি
শব দেহ খোঁজে খাদ্য সন্ধানে।
ভাগারে রক্ষিত জন্তুদের লাশ
নিজেদের দখলে নিতে দিবসে
নর ও শকুনের লড়াই শেষে
নর-পাষন্ডরা করে বিজয় উল্লাস।
অর্থ-কড়ির লোভ-লালসায়
হিতাহিত জ্ঞানহারা পাষণ্ডরা
সেই মাংস পরিশোধন করে
বেচে দেয় হোটেল রেস্তোরায়।
অসাধু ব্যবসায়ীরা নিরজনে
সেই পচা মাংস সুলভে কিনে
রকমারি খাবার প্রস্তুত করে
সজ্ঞানে খেতে দেয় জনগণে।
জানা-অজানা রোগের বাহক
মানব দেহের প্রভূত ক্ষতিকর
সেই অখাদ্য পরিবেশন শেষে
নিভৃতে হাসে সেই পরিবেশক।
সবার এখনি ভাবা দরকার
নীরবে সহিব আর কতকাল
পুলিশ-প্রশাসনকে সাথে নিয়ে
সরবে চাইতে হবে প্রতিকার।