বলি,একটুখানি ভাবলে সকলেই
বুঝবেন,আতিথেয়তা কাকে বলে?
বলুন তো অতিথির আগমনের
কল্যাণে গৃহস্থের জীবন সংশয়ের
ব্যাপক সম্ভাবনা জেনেও ক’জন
করতে পারেন তাদেরকে সাদরে
আমন্ত্রণ ও আপ্যায়ন?জানি না,
একে নিষ্কাম সাধন কর্ম বলেও
চিহ্নিত করা যায় কিনা!
এবার সার্বজনীন পূজা কমিটির
উদ্যোক্তারা করোনা সংক্রমণকে
সাদরে আমন্ত্রণ ও আপ্যায়নের
উদ্যোগ নিচ্ছেন দেখে এ সকল
কর্মকাণ্ডের জন্য তাদেরকে আজ
বাহবা না-দিয়ে পারছি না।ভাবছি,
বসে কর্মোযোগীরা অকালে স্বর্গে
গমনের পথ প্রশস্ত করে রাখছেন
কিনা?
সেসব পূজাগুলির উদ্যোক্তাদের
কাছ থেকে সবিনয়ে জানতে ইচ্ছা
করে ঘটা করে পূজা করতে গিয়ে
দর্শনার্থীদেরকে পূজা প্যান্ডেলে বা
নিকটে টেনে আনার সাথে সাথে
করোনার সংক্রমণকেও নিজেদের
বসতির অঞ্চলে আমন্ত্রণ জানানো
হচ্ছে কিনা?
বলবেন,সংক্রমণ ছড়ালে শুধুমাত্র
দর্শনার্থীদের মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ
থাকবে,নাকি যেখানে লক্ষণরেখা
টানা হবে সে স্থানের আশেপাশেও
থাকছে সংক্রমণের সম্ভাবনা?বলি,
এই বিষয়টা ভেবে দেখবেন কি
উদ্যোক্তারা?
আমার জানতে খুবই ইচ্ছা করে,
প্রাণের চেয়ে রোজগারের অর্থমূল্য
বেশি কি?এ বছরের অস্বাভাবিক
পরিস্থিতিতে জীবনে বেঁচে থাকার
তাগিদে উচ্ছ্বাসের সংযম আবশ্যক
কিনা?
শৃঙ্খলের ব্যবস্থা কতখানি কার্যকরী
হবে সেই বিষয়ে ও সংশয় জাগে।
যেখানেই ও যত দূরেই সীমারেখা
টানা হোক,সেই স্থানে এবং তার
আশপাশে সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে
ছড়িয়ে পড়ার আশংকা কে অগ্রাহ্য
করবেন কিভাবে?
উদ্যোক্তারা আবারও ভেবে দেখুন
ইন্টারনেটের পরিসেবার মাধ্যমে
অন্তত এই বছর জনগণের সাথে
সংযোগ রক্ষা করে পূজাপার্বনগুলি
মিটিয়ে নেওয়া যায় কিনা।শেষে
বলি,দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো
ছাড়া কোনও গত্যন্তর দেখি না।