কেউ নিচ্ছে ইন-হেলার
কেউ খুঁজে বেড়াচ্ছে ‘কোথায় আছেন ডাক্তার’?
বহু মানুষ শুয়ে হাসপাতালের আই সি ইউ তে
চেষ্টা করছে প্রাণটাকে ধরে রাখা যায় যাতে
হাঁকপাঁক করছে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে।
জলচর প্রাণীরা নিশ্বাস নিতে পারছে না জলে
বাতাসে ভেসে উঠছে যদি একটু প্রাণবায়ু মেলে
তারই অভাবে কত যে মরে ভেসে উঠছে জলে।
হায়রে, এমন কত কী ঘটছে এ কালে!
পাখিদের অবস্থা? পালাতে চেষ্টা করছে দেশ ছেড়ে
দূষিত বাতাস আসছে তেড়ে
মাকড়সার মতো চারিদিকে করছে জাল বিস্তার
কারো নেই আর নিস্তার,
ক'টি পাখি এই জাল ছিঁড়ে পালাতে পারছে?
ফুসফুসের কার কত জোর আছে?
ব্যর্থ হয়ে ধপাস ধপাস মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে
হাসপাতাল গুলোতে অগণিত রোগী শুয়ে আছে
এই নির্মম চিত্রের বহু দেশে বিস্তার ঘটছে।
নিশ্বাসে কষ্ট, ফুসফুস বায়ুদূষণে আক্রান্ত
মারণ-ব্যাধি ক্যান্সারের বাড়বাড়ন্ত
দেখা দিচ্ছে আরও কত আনুষঙ্গিক রোগ ব্যাধি
ক্রমাগত বাড়ছে এর পরিধি।
কারো বলতে আর দোষ কি?
এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যতঃ দায়ী জনস্ফীতি
বিশ্ব জুড়ে জনবিস্ফোরণের নেই যে খামতি।
কেউ বলতেই পারে এখন কিচ্ছু করার নেই আর
তাই বয়ে বেড়াতে হবে মারণ ব্যাধি ক্যান্সার।
কী জানি, হলো কি বিনাশ কালে বুদ্ধিনাশ!
মানুষ সাদরে ডেকে আনছে কি সর্বনাশ?
খুঁজবে আর কবে করেছে কত অরণ্য নিধন
এখন করছে কি সর্বনাশের বাদবাকি আয়োজন
চেষ্টা করছে কি কমাতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ?
যেন একটু স্বস্তির ছোঁয়া পায় জনজীবন?
আমোদ আহ্লাদের একটু নিয়ন্ত্রণ
নয়তো বিনোদনের বিকল্প পথের অন্বেষণ।
পরিবেশ দূষণকারী বাজি না-ফাটালে কি নয়?
বিনোদনে খামতি থাকবে, জাগছে এই ভয়?
টনক নড়বে দূষণ সহ্যসীমার কত গুণ হলে?
আর কত প্রাণী প্রাণ হারিয়ে মাটিতে লুটলে?
শেষ অবধি ধরণীতে থাকবে প্রাণের স্পন্দন?
সেটি একবারও ভেবে দেখবে কি এখন?