হুজুর, বলছে লোকে অভাবনীয় এ দুর্যোগে
আগে অনেকে আপনাকে ভাবতো দেবদূত
আবার কেউ কেউ ভাবতো ঈশ্বর!
নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেলাম গণতান্ত্রিক
এ দেশে আপনাকে নির্বাচনে দাঁড়াতে হলো
জনহিতে।
নির্বাচনের ঘণ্টা বাজলো যখন রাজকোষাগার
তখন শূন্য প্রায়। তবুও দায় এড়িয়ে যেতে
পারেননি মোটে।
রাতে নির্ঘুম থেকে আপনি লিখে ফেললেন
জন মোহিনী নির্বাচনী ইস্তাহার।
দায় কাঁধে নিয়ে দেশকে গড়তে চেয়েছেন
লন্ডনের মতো। প্রকাশ্য জনসভায় সে কথা
ঘোষণা করতেও করেননি ইতস্তত।
ধ্রুবতারা সাক্ষী। ইস্তাহারে উল্লেখ ছিল
এ দেশে স্বর্গোদ্যান গড়ার প্রতিশ্রুতি।
ভুঁড়ি ভুঁড়ি আরো কত কী।
সেসব শুনে জনগণের মনে দপ করে জ্বলে
উঠলো আশার বাতি। নির্বাচনে জিততেও
রাখেননি চেষ্টার কোনও খামতি।
প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে লড়লেন দাঁতে দাঁত
চেপে। সাফল্য জুটলো তাতে।
ভোটে জিতে সরকার গড়ে এক আকাশচুম্বী
অট্টালিকার উপর তলায় গিয়ে সিংহাসনে
বসে দেখলেন সেখানে রসনা তৃপ্তির এলাহি
বন্দোবস্ত।
শত চেষ্টা করেও তখন লোভ সম্বরণ করতে
না পেরে ভাবলেন এ সময় ইতস্তত করে
লাভ কী? ভুঁড়িভোজ সেরে নিলে কী এমন
ক্ষতি?
খোঁজখবর করে জানা গেল বিগত ক’বছর
রসনা তৃপ্তির জন্য এতো খাবার খেলেন,
সেসব এখনো হলো না হজম।
এখন হরদম আপনার পেট ডাকছে গুড়গুড়।
অপাচ্যগুলো পেট থেকে উগরে আসছে।
আপামর জনগণ এ দৃশ্য দেখে করছে বিদ্রূপ।
তীরের ফলার মতো চারদিক থেকে সেসব
এমনি ধেয়ে আসছে এখন এক বাটি স্যুপ
গিলতে ও  আপনার অনীহা খুব।  
বদ্দিমশাই এ বদহজম থেকে নিরাময় দিতে
চেষ্টা কম করছে কি? তবু সে ভেবে পাচ্ছে
না এ ব্যাধি সারবে কিসে?