বলেছি, ‘বলবো কী আর ধর্মাবতার,
এক যুগ ধরে তো শুনে এসেছি
তাদের চলার জন্য পাতা ছিল সবুজ গালিচা
সে কথাই লেখা আছে সরকারী পরিসংখ্যানের খাতায়।
এখন মূর্ছা যাওয়ার দোরগোড়ায়
শুনছি বলছে জনে জনে
এই সুদীর্ঘ সময় কতগুলো বানরের সৌজন্যে
পথে চলতে গিয়ে তাদের পায়ে বিঁধেছে অজস্র কাঁটা
পা গুলি হয়েছে ক্ষতবিক্ষত, ঝরেছে অজস্র রক্ত,
ভেবেছি তবে হলো কী?
যা শুনেছি সবই ভুল?
কান কে করতে হবে অবিশ্বাস?
শ্রবনইন্দ্রিয়ে বেঁধেছে গোল?
একথা শুনেই আর দেরি করিনি একচুল
হন্তদন্ত হয়ে ছুটেছি ই এন টি চিকিৎসকের কাছে
বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বললেন চিকিৎসক,
না, সেতো নয়, শ্রবনইন্দ্রিয় এখনো আছে ঠিকঠাক।
তারপর? ভেবেছি করি কী?
একটুও দেরি সয়নি আর
সাথে সাথে বাঁক নিয়ে ছুটেছি
খ্যাতনামা মস্তিষ্কের চিকিৎসকের দুয়ারে
পৌঁছেছি তার কাছে ঠক ঠক করে দুয়ারে কড়া নেড়ে
বলেছি তাকে, ‘চিকিৎসক মহাশয়, মনে জাগছে ভয়
বিগত বারো বছর যা শুনেছি সবই কি ভুল?
নাকি মগজে বেঁধেছে গণ্ডগোল?
দেখুন তো হলো কি মস্তিষ্ক বিকৃতি?’
তিনি পরীক্ষা করলেন যথারীতি
খুঁজেও পেলেন না কোন ব্যাধি।
তারপর? ভেবেছি, এবার করি কী?
দেখি ঘটেছে কি তথ্য-বিকৃতি?
সি বি আই এর মারফৎ তথ্যানুসন্ধান করে
এ বিষয়ে অবগত করতে পারেন কি ধর্মাবতার?
আদালতে এসে তাই আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।