এই তো সেদিন আমড়া গাছের মগডালে
বসে বললো কাকাতুয়া, দেশবিদেশ ঘুরে
দেখতে গিয়ে একটি কর্মনাশা দেশ ওর
নজর কেড়েছে।
সেই দেশে কর্ম সংস্থানের সুযোগ অবলুপ্ত
হলেও জনগণ কর্মের দাবী তে সোচ্চার
হয়নি একরতি।
বললো পাখি, সেই দেশে ক’জন দাতা  
লালসাভোগী জনগণদের পরম আত্মীয়
সেজে ‘ওঁ শান্তি মন্ত্র’ জপ করে নিয়ত
বিলিয়েছে তাদের খয়রাতি সাহায্য।
বিনা শ্রমে এমন খয়রাতি পেয়ে জনগণ
ভেবেছে তাদের জুটেছে স্বর্গ রাজ্য।
এমন সাহায্য পেলে কাজের দাবী উঠবে
কেন? জনগণের ধরেছে নাকি ভীমরতি?
বললো পাখি, মুক্ত হস্তে সেই দান ঠিক
যেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কেউ মরলে
মৃতের নিকট-আত্মীয়স্বজন যেভাবে তাঁর
আত্মার উদ্দেশ্যে বিলায় ভোজ্য।
উদ্দেশ্য? সেই মৃতের আত্মা যেন নিদ্রা
যেতে পারে শান্তিতে।
বললো পাখি, বিনা শ্রমে নিয়মিত এসব
জুটলে ক’জন আর পথে নামে কাজের
দাবীতে?
দেখেছে পাখি, দানগ্রহীতারা সেই সাহায্য
নিয়ে দাতাদের জয়গান গেয়ে ভোজ পর্ব
সেরে দিবসেও কাটাচ্ছে কুম্ভকর্ণের মতো
সুখনিদ্রায়।
তাদের ভাবখানা দেশটি উচ্ছন্নে গেলেও
তাদের কী আর আসে যায়।
কিন্তু তাদের যাই ইচ্ছা থাকুক, অকাতরে
সেই ঘুম হলো কৈ? তাদের খুবই আক্ষেপ
কিছু নিশাচর প্যাঁচাদের চিৎকারে নাকি
ভেঙেছে ঘুম।