বসন্তকে ছুঁতে
চড়েছিলাম জীবন রথে
চড়াই উতরাই এর মতো পথ,
পেরিয়ে এসেছি গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরত.....
যার জন্য এ পথ চলা
বিরতি নেই একবেলা
কোথায় সে?
কস্তূরীর খোঁজে হরিণের মতো ছুটে বেড়ানো
সত্ত্বেও পাইনি তার হদিস এখনো।
তন্দ্রাচ্ছন্ন!
মরা গাঙে জোয়ার আসার মতো
স্বপ্নে দেখেছি কে যেন
দরজায় ঠক ঠক করে কড়া নেড়ে বললো,
‘বসন্ত এসে গেছে!’
ভাবিনি স্বপ্নে দেখা সব মিছে!
শয্যা থেকে তড়িঘড়ি উঠে
হন্তদন্ত হয়ে বাইরে ছুটেছি
বসন্তকে জানাতে অভ্যর্থনা।
হায়রে,দিবাস্বপ্ন !
পাল্টে দিলো সব ধারণা।
বাতাসে ছিল না মন মাতানো
চাঁপা,বেলি,মহুয়া ফুলের সুবাস
বরং চূর্ণ-বিচূর্ণ হলো বিশ্বাসের আতুর ঘর।
কচু জাতীয় কন্দের রাইজোমের মতো
বাতাসে ছড়িয়ে পড়া বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধ
এসে ক্রমাগত বিঁধলো নাকে।
দেখেছি প্রাণ রক্ষার তাগিদে এদিক ওদিক
ছুটছে সব দিশেহারা সাধারণ নাগরিক।
চলছে লড়াই অসম দুই প্রতিপক্ষে
একদিকে হীনবল ইউক্রেন
তার উপর সিংহ বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ছে এখন
পরাক্রমশালী রাশিয়া।
পরিণাম কী হতে পারে সেই ভেবে
কেঁপে উঠলো হিয়া!
দু’পক্ষ ক্রমাগত করছে অস্ত্র বর্ষণ
নেই কারো কোনও নিয়ন্ত্রণ।
নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে কি?
সেও আছে,বৈকি!
তাতে কী?
হানাদার মানে কি আর যুদ্ধের রীতিনীতি?
অস্ত্র নিক্ষেপের বিরাম নেই দু’দণ্ড  
খণ্ড-বিখণ্ডিত হলো বহু বিশাল অট্টালিকা
মানবতাকে ক্ষত বিক্ষত হয়ে
হেলায় পড়ে থাকতে দেখে ভেবেছি,
অবলুপ্ত হলো কি মানবতার শিক্ষা?
শোনা যায় না আর পাখিদের কলকাকলি।
যা চলছে বলতে হয় বীভৎস ঘটনাবলী?
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা যারা বেঁচে আছে এখনও
ঘন ঘন কাঁপছে তাদের হিয়া,
দেখেছি সেজ-বাতিতে তেলের অভাব,
দপদপ করে জ্বলছে ইউক্রেন দেশের দিয়া।