বরাত মন্দ হলে তখন ঘটে কত কী!
অনেকের জোটে না দু’বেলা দু’মুঠো
ভাত। সে সময় নদী বয় ভিন্ন খাতে।
কলকল ধ্বনি ওঠে।
কেউ কেউ সন্ত সেজে মোহনভোগ
বিলতে ব্যস্ত।
মস্ত বড়ো এ খবর জানাজানি হলে
সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়তে কারো
কারো ইচ্ছা হয়।
কাকাতুয়া দেখেছে এ ঘটনা ঘটছে
এক দেশে। আর্থিক ভাবেই পিছিয়ে
পড়া অনেকে তো বটে, বহু লোভীও
দেবতার প্রসাদ গ্রহণে লাইনে গিয়ে
দাঁড়িয়ে পড়েছে।
দেখেছে পাখিটি সন্ত বিলচ্ছে সেটি
দু’হাত ভরে। এই দেখে গ্রহীতাদের
মন আনন্দে ভরে উঠছে ।
দেবতার প্রসাদ পেতে তারা মাটিতে
লুটিয়ে পড়ে তখন সন্তকেও করছে
প্রণাম।
দেখেছে পাখি বারবার এ কাজ করতে
গিয়ে তাদের শিরদাঁড়া বেমালুম গেছে
বেঁকে।
সন্ত তখন তাদের কী মন্ত্র শোনালো
শুনবে নাকি? শোনালো ভোট আসন্ন।
তাকে ভোট দিয়ে ধন্য করলে অচিরে
তাদের জীবন থেকে খসবেই কালো
মেঘের আস্তরণ। তখন শিব-ঠাকুরের
অনুগ্রহ পাওয়ায় মতো ব্যাপার।
পাখির মুখ থেকে শোনা এ কথাগুলো
মশার গুঞ্জনের মতো বাজলো কারো
কারো কানে। অসহ্য!
দেখেছে পাখি তখন ঘটলো কী! মশার
উৎপাত ভেবে ক’জন সাথে সাথে চড়
কশাল কানের পাশে। তখনি দেখলো
তারা দু'চোখে অন্ধকার।
যখন চৈতন্য ফিরলো ভাবলো, দেবদূত
মোহনভোগ বিলচ্ছে কী উদ্দেশ্যে? আর
সে কি সেসব তার ঘর থেকেই এনে?