সেদিন দেখেছি,শারির চিৎকার
শুনে তরীর যাত্রী সেজে সে
তড়িঘড়ি দিয়েছে পাড়ি।
বলতে পারো সে কি এখন পৌঁছে
গেছে নিরুদ্দেশে?
না,নিরুদ্দেশে পৌঁছতে এখনও
বাকি।দেখেছি আজ,কাল-তটিনীর
বাঁকে যুগের সন্ধিক্ষণে সে পৌঁছে
গেছে।
বলি,আত্মকেন্দ্রিক লোভী মানুষেরা
এ সময় কি সন্ন্যাসী সেজে বসে
থাকতে পারে?ভাবো,এ কাজ কি
তাদের সাজে?
ঘরের দাওয়ায় বসে দেখেছি,
লোভ-লালসা মেটানোর তাগিদে
তারা মারণাস্ত্রের সদৃশ অসংখ্য
মিথ্যা-প্রতিশ্রুতির বুলি বাতাসে
ছড়িয়ে দিচ্ছে এক নিঃশ্বাসে,আর
মানুষের বিশ্বাসে আঘাত হেনে
গণতন্ত্র কে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে
হয়ে উঠেছে সর্বশক্তিমান।
দিবাবসানের সময়।সমগ্র আকাশ
মেঘাচ্ছন্ন।বৈশাখী ঝড়ের প্রবল
সম্ভাবনা।
আঁধার ঘনিয়ে এলে এই লুটেরা
আপামর জনগণের আত্মবিশ্বাসের
দেবদারু কে উপড়ে ফেলে তাদের
যজমানদের সহযোগে দেশের সম্পদ
ডিঙ্গিতে বোঝাই করে কাল-নদীতে
ভাসিয়ে নির্বিকারে পাড়ি দিচ্ছে যেন
বহুদূরে।
হায়রে,এ কী দুঃসময়!তাদের ভোগ
বাসনা এতই প্রকট,সপ্ত-ডিঙ্গি ভরা
সম্পদ লুট করেও যেন মেটেনি
লালসা।
দেখেছি শক্তিমানরা আত্মবিশ্বাসে
ভরপুর,অদৃশ্য শক্তিকে নিজেদের
স্বার্থে প্রয়োগ করে তারা জনগণকে
করেছে কোণঠাসা।
বলো,এ অবস্থায় কে যোগাবে
তাদেরকে বাঁচার ভরসা?
ভাবছি এখন,তবে ভরাডুবি হবে
কি কাল-তটিনীর বাঁকে যুগের
সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা ‘জাতির
ভবিতব্য’?
ওই শোনো,শত কোটি সাধারণ
জনগণ বাঁচার তাগিদে ই করছে
চিৎকার।দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ
বরবাদ হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট।
এখনি যেন একেবারে কোণঠাসা।
অতৃপ্ত লালসায় লোভীদের অনেকে
হাত বাড়িয়ে একটা প্রজন্ম কে
শক্ত ভাবে ধরে ডোবাচ্ছে কালের
গহ্বরে।হায়রে,নরপিশাচেরা কী না
করতে পারে!
বাতাসে ভেসে আসা দুর্দশাগ্রস্ত
জনগণের আর্তনাদ শুনে ভাবি,
এই জাতির ভবিষ্যৎ তলানি তে
পৌঁছতে এখনও কি বাকি?
তোমাকে বলবো কি,দূর থেকে
দেখি বসত ঘরের আস্তরণ খসা
দেওয়ালে বসে টিক টিক করে
ডাকছে টিকটিকি।
এ কিসের ইঙ্গিত?সে কি বলতে
চাইছে,এভাবে চললে খুব শীঘ্রই
অতল গহ্বর হতে তুলে আনতে
হবে জাতির ভবিতব্যের সমস্ত
হাড়-কঙ্কাল?
বলা  ভালো,ওদিকে দেখো জ্বলে
উঠছে আশার আলো।জাতির
এ বেহাল অবস্থায় তরুণ প্রজন্ম
এগিয়ে এসে ধরছে হাল।
মনে জাগছে কি আশার সঞ্চার?
তবে,দেখেছি এ কথাটি শুনেই
অনেকে বিনুনি বাঁধছে তার।