সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো
আবছা অন্ধকারে চারদিক ছেয়ে গেল।
অনতিদূর থেকে দেখা গেল ঠারেঠোরে  
কাটা-খাল সংলগ্ন অঞ্চলের কানাগলিতে    
ক’জন একসাথে চুপিসারে করছে বলাবলি,
‘পূজা ও সংকীর্তনের সময় ঘনিয়ে এলো,
চল যাই, মন্দিরে গিয়ে কাঁসরঘণ্টা বাজাই’।
ওদেরই একজন বলে উঠলো,
‘যাবি ভালো, খালি হাতে সেখানে যাবি নাকি?
পূজা দিতে রয়েছে না এখনো বাকি?
বলি, মাথায় ছড়িয়ে দিয়ে গঙ্গাজল
পূজার ডালি সাজিয়ে নিয়ে চল,
দিয়ে আসি আরাধ্য দেবীর পূজা।
নয়তো, কে জানে কখন জাগ্রত দেবীর
জুটবে কী কঠোর সাজা?’
অনতিদূরে গাছে বসে দেখলো এক বাদুড়
ওদের সবার গলায় একই সুর
বাকিরা সে কথায় দিলো সায়
শৃগালেরা যেমন এক সুরে গান গায়।
লোকগুলোর গলায় গলায় খুব ভাব
সেই অন্ধকারেও দাঁড়িয়ে ভাগ করে খেল কিছু কাবাব।
কাজেকর্মেও ওদের ব্যাপক সমন্বয়।
পরিচয়? বোধ হয় ওরা চোর ও পকেটমার।