হলো-ই বা দু’-দু’টো বিশ্বযুদ্ধে
বহু নিরস্ত্র মানুষ নিহত, বসুন্ধরা ক্ষতবিক্ষত
রক্তে স্নাত নদীতে বয়ে গেলো অজস্র লাশ।
এ বিশ্বের হলেও এতো সর্বনাশ
নরপিশাচদের মেটেনি আশ।
পাষাণ হৃদয়!
দাঁড়িয়ে আছে শকুনের দৃষ্টিতে দেখতে
আবারও আর একটা পারমানবিক যুদ্ধ
বদ্ধ-ভূমিতে ঘটতে পারে আরও কত কী!
কত রক্ত বইতে পারে নদী!
ওরা দেখার অপেক্ষায়
কোটি কোটি মানুষের ঝলসানো দেহ থেকে
কিভাবে শৃগালেরা হৃৎপিণ্ডগুলো টেনে ছিঁড়ে খায়।
বিশ্বকে টিকিয়ে রাখার ওদের নেই কোনও দায়।
এখনি যুদ্ধরত দেশগুলোর অসহায় মানুষগুলো
বুকে হেঁটে ভিন দেশে পালাতে চায়
এখনি বাতাসে বারুদের গন্ধে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর
সৈন্যদের অস্ত্রাঘাতে ভাঙছে নিরস্ত্রদের বুকের পাঁজর।
হায়রে, ঘন কালো মেঘে ঢাকা আকাশ দেখেও
নরপিশাচেরা বোঝেনি জীবন ও মানবতার কদর।