বললো কাকাতুয়া, আজ বুকে একরাশ
যন্ত্রণা নিয়ে সনাতন ধর্মবিশ্বাসী পুরুষ
শাসিত সমাজকে বলতে ইচ্ছা করছে,
‘বলিহারি বটে, দেখালে কত ঔদ্ধত্য!
বিগত সহস্রাব্দের কত নারীদের করলে
ক্ষতবিক্ষত। দেখছি আজও ঘোচেনি
তোমার অন্ধত্ব।
মনে পড়ে, নারীদের স্বামী মারা গেলে
সমাজে ব্যভিচার রোখার দায় নিজেদের
কাঁধে নিয়ে কত বাল্যবধূদিগকে সেসময়
জোরজবরদস্তি তাদের মৃত স্বামীর জ্বলন্ত
চিতায় তুলে দিয়ে নির্মম ভাবে পুড়ে
মারলে।
হায়রে, কালের দ্যোতনা শুনেও যেন
শুনলে না। বিনা অপরাধে কেড়ে নিলে
কত বাল্য-বধূর বাঁচার অধিকার।
নিঃস্পৃহ সমাজ, প্রতিবাদ মুখর হয়ে
প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে অমানবিক
কাজে রত ব্যক্তিদের এ কাজে বিরত
করতে জানাওনি ধিক্কার। মানবতাকে
জলাঞ্জলি দিয়ে করলে ছারখার।
মনে পড়ে, রাজা রামমোহন এ বিষয়ে
প্রতিবাদ মুখর হয়ে আন্দোলনে সোচ্চার
হওয়ার আগে কেড়ে নিয়েছ কত নারীর
বাঁচার অধিকার।
সেসব ছিল নাকি ভয়ানক সন্ত্রাস?
ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলে নারীদের
মনের গভীরে।
      (চলবে)