অমসৃন পথ ধরে কড়কড় শব্দ করে
গড়াচ্ছে সমাজ-রথের চাকা।
বাঁকা চাঁদ শুনছে কাকাতুয়া সমাজকে
বলছে, ‘বলবে সমাজ, নারী কি কোন
দানের সামগ্রী? বলো, কেন কোনও
বিবাহ অনুষ্ঠানে বিবাহযোগ্যা কন্যার
পিতাকে অশ্রুবানে ভেসে আজও কেন
করতে হয় ‘কন্যা সম্প্রদান’?
আর সেই কন্যাকে আনন্দের মুহূর্তে
সচক্ষে দেখতে হয় এমন অমানবিক
দৃশ্য।
বলো সমাজ, নারীদের এ কি কোনও
বিধিলিখন?  নাকি এই বিধি সনাতন
ধর্মবিশ্বাসী পুরুষ সমাজের মনগড়া
আমন্ত্রণ।
দেখো, আকাশে পতপত করে উড়ছে
অজস্র ঘুড়ি। সুতোয় হাত দিয়ে ধরে
দেখো সুতোয় রয়েছে কত টান!
বলবে, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নারীদের
অন্তরে গড়ে ওঠে নাকি স্বামীর প্রতি
নিগূঢ় ভালোবাসা? তারা ও অনুভব
করে নাকি অদৃশ্যমান হলেও কোনও
আত্মিক সেতুবন্ধন? তারাও অনুভব
করে নাকি আত্মিক টান?
বলবে, এতোই ভঙ্গুর কি স্বামী-স্ত্রীর
আত্মিক বন্ধন যে স্বামীর মৃত্যু হলে
এই বন্ধন হয় ভেঙ্গে চুরমার?
সমাজ বলবে কি সনাতন ধর্মাবলম্বী
কোনও নারীর স্বামীর মৃত্যুর পরেও
আজও আছে কি স্বেচ্ছায় শাঁখাসিঁদুর
পড়ার অধিকার?
যদি না-থাকে, বলবে কোন ধর্মগ্রন্থে
লেখা আছে তাদের এই অধিকারটুকু
কেড়ে নেওয়া যায়?
       (চলবে)