বলছে কাকাতুয়া ব্যাপক খোশমেজাজে
ও তোতাপাখি! লাজে মরি তোর কাজে,
দেখি না তো তুই একেবারে মগজ-হারা
প্রাত্যহিক কাজে তো রোজই দিস সারা।


তবে কেন রে রোজ বলিস শেখানো বুলি
ভাবতেও কষ্ট? -মগজ কি এতোই খালি?
তবে কেন আজও যা শেখায় বাজিকরেরা
সে কাজে না-ভেবেই রোজ দিচ্ছিস সাড়া।          


এমন নিরেট পেলে কে আর থাকবে বসে
খেলা দেখালেই যদি কড়িতে পকেট ভরে?
ভোটে খেলা দেখালে নেতাদের দোষ কিসে?    
তাদের ইশারায় ভোটারও নাচে ঘরে ঘরে।


ভোট এলেই এই খেলার কতই বাড়বাড়ন্ত!
নেতাদের ইশারায় এই খেলারও নেই অন্ত।
ক’জন ভোটার ভাবছে, মগজ লাগে কাজে?
আফিং খেয়ে অনেকে নাচে খোশমেজাজে।


আফিং-খোর পেলে নেতারা কি থাকে বসে
ভোটে যদি তাদের পক্ষে ভোট-বাক্স ভরে?
ভাবনাচিন্তা হারা সকল ভোটার বুঝবে কবে
তাদের কী অবস্থা যে দাঁড়াবে ভোটের পরে?