এইতো সেদিন বাড়ির পোষা বিড়াল
মিনি, পাকশালায় মাছের গন্ধ পেয়ে
ভেবে বসলো ভাজা মাছ না-খেলেই
নয়।
মস্ত বড়ো পেটুক হলে কি বসে থাকা
যায়, গিন্নি-মা কখন খেতে দেবে সেই
অপেক্ষায়?
দেখেছি, মিনি সটান রান্নাঘরে রাঁধুনি
গিন্নি-মার কাছে গিয়েই ঘুরতে শুরু
করেছে তার পিছে পিছে।
ভাঁজা মাছের জন্য আবদার? -সেও কি
আর বাদ যায়? ক্রমাগত ওর ম্যাও
ম্যাও ডাকে গিন্নি-মার অতিষ্ঠ হওয়ার
উপক্রম।
মাছ খাওয়ার এমনি ওর উদগ্র বাসনা
ছিল শেষে মাছের লেজ বরাতে জুটলো
যখন, মিনি এ কথাও ভুলে গেছে মাছ
খেতে হলে ধীরে সুস্থে চিবিয়ে না-খেলে
গলায় বিঁধতে পারে কাঁটা।
মতিভ্রম হলে যা হয়, মাছ খেতে বসে
করেনি সেই কাজটি। ভাবেনি গলায়
কাঁটা বিঁধলে করবে কী?
দেখেছি, মাছের লেজ খেতে গিয়ে ওর
গলায় বিঁধেছে কাঁটা।
তারপর? কাঁটা বের করার আপ্রাণ
চেষ্টায় ঢেঁকুর তুলছে ক্রমাগত। ব্যর্থ
প্রয়াস!
শেষে সকলকে ডেকে ডেকে বলছে,
‘কী হবে কাঁটাটি গলা থেকে আদৌ
না-বেরলে?’
আরো বলছে, ‘এবার কাঁটা বেরলে,
সেটি থেকে নিষ্কৃতি পেলে আর মাছ
খাবো না মোটেই’।
কিন্তু এখন সেকথা বলে কী হবে?
দেখেছি ওকে, অনর্গল ঢেঁকুর তুলে
কাঁটাটি বের করতে চেষ্টা করলেও
সেটি বের হলো কৈ, এখনও বিঁধে
আছে গলায়।