বললো কাকাতুয়া কোথায় নাকি বেড়েছে
এক ব্যাধির সংক্রমণ। সে নাকি  দেখেছে
সে দেশে বহু ধনী দরিদ্র নারী-পুরুষ অর্থ
লালসায় খুক খুক করে কাশে সারাক্ষণ।
এখন এ সংক্রমণের কারণে তাদের নাকি
দিশেহারার মতো অবস্থা। রাস্তা দিয়ে যায়
যে পথচারীরা তাদের পদধ্বনিও তাদের
কানে পৌঁছলে বড় চোখ করেই তাকিয়ে
দেখে কেউ কি অর্থ বিলতে আসে।
এই তো সেদিন ঘটলো অবাক করা এক
কাণ্ড। চারদিকে সবই হলো লণ্ডভণ্ড।
গোধুলিবেলা। সূর্য তখন পাটে। সে সময়
কারো কারো কাশি এ পর্যায়ে পৌঁছলো,
থামানোও দুষ্কর। এ কাণ্ড দেখে অনেকে
দুর্গা নাম জপ করতেও শুরু করলো।
কেউ কেউ করলো বলাবলি, 'কে জানে
কী রয়েছে দেশের বরাতে!'
দেখেছে কাকাতুয়া সেই কাশির উপদ্রব
ঠেকাতে না-পেরে বদ্যিমশাইকে ডেকে
আনতে হলো।
জানা গেল বদ্যিমশাই এসে টেথোস্কোপ
দিয়ে তাদের বুক-পিঠ পরীক্ষা করলেন।
তারপর?
বদ্যিমশায় গড়গড় করে বললেন তাদের
কলজে পড়েছে লোভের স্তর। তাই দিন
নেই রাত নেই কাশছে সারাক্ষণ।
এ রোগ সারবে কিসে?
-এ কথা জিজ্ঞেস করায় তার পরামর্শ,
'যাই বলুন এ রোগে দাওয়াই একটাই।
ভিক্ষার জন্য তাদের তোবড়ানো থালা
দিয়ে পরম আদরে ফুটপথেই বসালে
হতে পারে এ রোগের উপশম। দেশে
কমতে পারে এ রোগের সংক্রমণ'।