দেখো কতগুলি বর্ণচোরা একেবারে
কাঠবিড়ালির মতোই বেশ স্বচ্ছন্দে
ঘোরাফেরা করছে আমড়া গাছটির
এ-ডালে,সে-ডালে।রোজ ঘোরাফেরা
করতে গিয়ে জানো,সেদিন বিকালে
ঘটালো এক অদ্ভূত কাণ্ড।
গাছ ভর্তি ফুল।বর্ণচোরাগুলি একত্রে
লাফঝাপ দিতে গেলে ঝরলো মুকুল।
তবে কী,এসব করতে গিয়ে কালেভদ্রে
ওরা পড়ে শিকারির জালে।
ওদের এসব কর্মকাণ্ড দেখতে লাগে
বেশ।বেশভূষা বদলে নতুন ঠিকানা
খুঁজে নিতেও পারে বেশ তড়িঘড়ি।
শিকারি জাল পাতার আগেই ওরা
পালিয়ে স্বচ্ছন্দে মিশে যেতে পারে
এ-দলে কিবা সে-দলে,যখন থাকে
যে ডালে।
দলবদলের কালে ওরা খানাপিনা
নিয়ে খুবই ব্যস্ত,ভালে কী আছে
ভেবে দেখার সময়ও জোটে না।
তারপর?ওরা নেমে পড়ে খেলায়।
সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নেই
ওদের অভ্যাসে।
ডিফেন্স, মিড-ফিল্ড ও ফরোয়ার্ডে
খেলায় ওরা সাবলীল।গোল করায়
পারদর্শী।দেশী-বিদেশী খেলোয়ারদের
বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে ফাউল করায়
ওরা কম কিসে?
শোনো,সেদিন গোধূলিবেলায় আকাশ
ঢাকলো কালো মেঘে।বৈশাখী ঝড়ের
সম্ভাবনা।একটা জিরাফ কোথা থেকে
আচমকা এসে আমড়া গাছের নীচে
দাঁড়িয়ে গলাটি বাড়িয়ে বলে গেল,
‘ওরা কোনও হিসাব রাখে না হলুদ
এবং লাল কার্ড আগে কে,দেখেছে
কতগুলি।
বলা ভালো,সেসব হিসাব রাখে নাকি
শুধুই ম্যাচ রেফারি।