স্বপনে দেখেছি বৃদ্ধ বলছে নবারুণ কে,
'বেশতো পুষতে চেয়েছিলে বিড়াল ছানা
কেউ এ কাজে করেনি মানা,
কিন্তু মগজে বাঁধলো কি গোল?
বিড়াল ছানা আনতে গিয়ে নিয়ে এলে বাঘরোল?
এবার ওর উপদ্রবের থাকবে না সীমা পরিসীমা
সকলকে সইতে হবে কত যে লাঞ্ছনা!
খেতে হবে ওর নখের আঁচড়
দর দর করে রক্ত ঝরবে
মরতেও হতে পারে ওর নখের আঁচড়ে।
হয়তো ভাবছো তেমন কিছু ঘটবে না
ভাবো, নখরদের বিশ্বাস করা যায় কিনা।
করবে কী ওর অত্যাচার ছাড়ালে সহ্য সীমা?
ক'দিন মুখ বুজে সহ্য করবে?
একটা সময় পরে প্রতিবাদ করতেও বাধ্য হবে।
প্রতিবাদের ধরন? বিভিন্ন ধাপে রকম ভেদ ঘটে,
দেখবে প্রতিক্ষেত্রে শুরুতে
নির্যাতিতরা শোষকের কাছে করে আবেদন আবেদন
যদি তার বিবেক দেয় সাড়া
আর তারা তখন প্রভুভক্ত সারমেয়র মতো
লেজ গুটিয়ে বসে থাকে।
পড়লেও শোষকের লেঠেলদের লাঠির বারি
তাদের বুকে পিঠে
'মেরো না আর, একটু বাঁচতে দাও'
বলেও তারা করে চিৎকার।
সেই আবেদনে ও বরফ না-গললে মৃদুস্বরে প্রতিবাদ,
তারপরও সুরাহা না হলে অত্যাচারীর প্রতি ব্যঙ্গ বিদ্রূপ।
অবশেষে প্রতিবাদে গর্জে ওঠা ছাড়া গত্যন্তর কি?'
দেখেছে বৃদ্ধ নির্যাতিতরা অত্যাচারীর প্রতি
ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করছে দেখে
নবারুণ রেগে কাঁপছে ঠক ঠক করে
তার শিরদাঁড়া যাচ্ছে বেঁকে।
বৃদ্ধ বললো তাকে,'শোনো, কাকাতুয়া বলছে কী?
বলছে যখন এসব ঘটনা ঘটে
শুরু থেকে সচক্ষে সমস্ত ঘটনা দেখলেও
সবার সমান অনুভূতি জাগে না
কেননা সবার মেরুদণ্ড সমান শক্ত না।
কেউ অন্ধ হলে তার নজরে আসার কথা নয়
স্বদেশ ও দাউদাউ করে জ্বলে পুড়ে ছাই হলে
সে থাকে নির্বিকার
যতক্ষণ না তাপ এসে লাগে তার গায়ে'।
তারপর ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায়
পরে কী ঘটলো, জানা গেল না।