কে তুমি, মশাল জ্বালিয়ে আগুন নিয়ে
করলে খেলা রাতের অন্ধকারে?
হায়রে, এই খেলার সময় চারদিকে বহু
দাহ্য পদার্থ যে ছড়িয়ে আছে, সেও কি
নজরে এলো না?
বালসুলভ কর্মকাণ্ড। তোমার এই কাণ্ড
দেখে প্রকৃতি করেছে বিদ্রূপ। তবু সেই
কথায় কর্ণপাত করলে না।
তোমাকে ধরেছে কি ভীমরতি? -বোঝা
দুষ্কর তোমার মতিগতি!
রাতের তারারা সাক্ষী, সব দাহ্য পদার্থে
লেগেছে আগুন! ধোঁয়ার পরশে অচিরে
কারো কারো ভেঙ্গেছে ঘুম।
খোলা জানালা দিয়ে এই দৃশ্য দেখে তারা
কি চুপ করে বসে থাকতে পারে? ঘরদোর
থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে ‘আগুন, আগুন’
বলে তারা করেছে চিৎকার। এই অবস্থায়
ঘুমিয়ে থাকার সাধ্য কার?
সেই চিৎকারে ভেঙ্গেছে পাড়াপড়শীদের
ঘুম। দেখছে সকলে ঘরে ঢুকে পড়েছে
সর্বনাশের ধূম।
আগুনের লেলিহান শিখা গিলছে তাদের
ঘরদোর। গৃহস্থালি? সেও পুড়ে একাকার।
কারো সুস্থির থাকা হলো না আর।
ভীমরুলের চাকে পৌঁছেছে তাপের ছোঁয়া।
ধোঁয়া? –সে ও। এ অবস্থা হলে ভীমরুলরা
কি চুপ করে বসে থাকতে পারে?
ওরা এখন আর বসে নেই। যে কিংবা যারা
আগুন নিয়ে করেছে খেলা তাদের তন্নতন্ন
করে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছে। চারদিকেই
করছে ছোটাছুটি।
কী জানি, আগুন নিয়ে খেলেছে যারা কী
দাঁড়াবে ওদের পরিণতি!