শুনেছি সে দেশে গণতন্ত্র স্বমহিমায়
বিরাজ করছে। তাকে দেখিনি আগে
তবে শুনেছি সে নাকি রূপসী।
‘কেমন দেখতে সে?’, সেটি জানার
আগ্রহে কৌতূহলের ডানায় ভর করে
উড়ে গেছি সেদিকে।
একটু এগোতেই বিপত্তির মুখোমুখি
হতে রইলো না বাকি।
বলবো কি, ভল্লুকের মতো কালো
মেঘের পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে
পড়েছি এক নদী বাঁকে।
নদীতে বইছে রক্তস্রোত। জিজ্ঞেস
করেছি তাকে, ‘ নদী, এতো রক্ত
বয়ে আনছো কোত্থেকে?
ক্ষণকাল কী যেন ভেবে বললো সে,
‘পিছনে ফিরে দেখো দস্যুরা করেছে
কী? গণতন্ত্রের বুকে ও পিঠে ছুরি
মেরেছে। এ তার রক্ত স্রোত, বয়ে
নিয়ে যাচ্ছি।
পিছন ফিরে দেখি গণতন্ত্রের করুণ
পরিণতি। মাটিতে শয্যাশায়ী হয়ে
ছটপট করছে বাঁচার তাগিদে।
তার বুকে সগর্বে দাঁড়িয়ে দস্যুরা
নাচছে উল্লাসে। তাদের দু’হাতে
বহু নিরীহ মানুষের রক্ত লেগে
আছে।
এ দৃশ্য দেখে দিশাহারা হওয়ার
উপক্রম। দম বন্ধ হয়ে আসছে।
কাঁপছে শরীর।
তবু কৌতূহলের কাতুকুতু খেলে
কি স্থির থাকতে পারি? অগত্যা
তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে বাধ্য
হয়েছি, ‘ কিভাবে এই তল্লাটে
আসার খোঁজ পেলে?’
বললো তারা, 'দলতন্ত্রের হাত  
ধরে এসেছি'।
কথা বাড়াতে আর ইচ্ছা হলো
না। বুঝতে ও বাকি রইলো না,
হয়েছি ‘দানবতন্ত্রের মুখোমুখি’।