বলি,বয়সের ভারে নয়,রোজ
রাজপথের মিছিল থেকে উঠে
আসা জনতার পদধূলির ঝড়ে
চালশে ধরেছে যেন দু’চোখে।
চারদিকে দেখি ঝাপসা।কিছুই
দেখতে পাই না স্পষ্ট।ভাবছি,
হয়তো এটাই অদৃষ্ট।
এখন কান ই কিছুটা ভরসা।
সেও বলি কি করে!শব্দ-বাজি,
ও মাইকের অত্যাচারে শব্দের
তীব্রতা রোজ রোজ যেভাবে
ছাড়াচ্ছে সহ্যের সীমা,কোনও
শব্দ স্পষ্ট শুনতেও পাই না
কানে।তাই কানগুলোকে দোষ
দিই না,এই দুর্যোগের দিনে।
বলি,একটু কান পেতে শোনো।
হয়তো কোনও মিছিল যাচ্ছে
রাজপথ দিয়ে।
ভাবি,চারিদিকে যেভাবে চলছে
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা,ওটা যুদ্ধ নাকি
শান্তির মিছিল,কে বলতে পারে?
একটু দেখো তো ফিরে।কী যেন,
‘করতে হবে,দিতে হবে’কী সব
শব্দ যেন ভেসে আসছে কানে,
ওই শ্লোগান থেকে?
যারা মিছিল করছে রাজপথে
তাদেরকে বলি,মগজে কয়েক
বার ঘা-গুঁতো মেরে দেখো,সেটা
নড়ে চড়ে উঠবে।
বলি,তখন ঠিকই বুঝবে,ব্যস্ত
জন-জীবন,শ্রম এবং সময়ের
অপচয় না-করেও ফেসবুক,
হোয়াটস অ্যাপ,আরও কত কী
সোশ্যাল মিডিয়া ও বৈদ্যুতিক
প্রচার মাধ্যম গুলির দৌলতে
সব দাবী যে কর্তা ব্যক্তিদের
কাছে নিয়মিত পৌঁছে দেওয়া
যাচ্ছে দ্রুত।বলছি,তবে কেন
নামতে হবে রাজপথে?
সব দাবী গুলি যথাযথ স্থানেও
পৌঁছে যাবে সাথে সাথে।তবে
সেসব দেখতে ও শুনতে  রোজ
কর্তৃপক্ষেরও চোখ-কান নিশ্চয়
খোলা রাখতে হবে।
এই দেখো,ভাবতেও একেবারে
ভুলে গেছি,বধির তো হয়েছে
আগেই,কী হবে যদি চালশেও
ধরে কর্তা ব্যক্তিদের চোখে!