মাঠে চলছে খেলা অবেলায় তবুও
গ্যালারী দর্শকে ভরপুর।সুদূর থেকে
অনেকে এসেছেন এ-খেলা দেখতে।
দেখেছো নিশ্চয় খেলা শুরুর একটু
পরে গ্যালারীতে শুরু হলো ‘ফাউল’,
‘ফাউল’ বলে চিৎকার।সেই চিৎকারে
যেন উঠলো ঝড়।কালো মেঘে ঢাকলো
আকাশ,দেখে মনে হলো ঝরে পড়বে
গাছের আম্র মুকুল।
ক্ষণিকের এ ঝড়,তারপর খেলা শুরু।
‘এ’ দলের খেলোয়াড় ফাউল করলে
ম্যাচ রেফারি থেকেছে নির্বিকার।যথার্থ
ফাউল,তাতে কী?তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত,
ফাউলে সম্মতি না-দিলে এই দর্শকেরা
করবে কি?
খানিকক্ষণ শোরগোল হবে,তারপর?
তার সেই সিদ্ধান্ত সকলেই মানতে
বাধ্য হবে।দেখেছ নিশ্চয় হলো তাই,
খেলায় পড়েনি যতি।
নজিরবিহীন ঘটনা,এক বালতি দুধে
এ যেন একফোঁটা গো-চোনা।শুনেছ
গ্যালারীর বহু দর্শক করলো বলাবলি,
‘এ ঘটনা ম্যাচ রেফারির সাথে আগে
থেকে ‘এ’ দলের গোপন সমঝোতার
পরিণতি।
সেটি হতেও পারে সত্যি।খেলা নিয়ে
কত কী ঘটে মাঠের ভিতরে-বাইরে।
কে,কতটুকু খবর রাখে?
যাক গে,দেখো বিরতির পরের খেলা।
প্রতিপক্ষ ঘটালো সেই আগের ঘটনার
পুনরাবৃত্তি।আবার শুরু হলো ‘ফাউল’,
‘ফাউল’ বলে চিৎকার।
রেফারি পূর্বের স্মৃতি এতো তাড়াতাড়ি
ভুলতে পারে কি?দেখো,এবারও তাকে
জোঁকের মতো পূর্বের সিদ্ধান্তে আঁকড়ে
থাকতে হবে।এ ছাড়া গত্যন্তর কী?
দেখছো,‘এ’-দলের ক্যাপ্টেন হৈ-হৈ
করছে বটে,রেফারি ফাউলে এখনও
দেয়নি সম্মতি।নিরুপায়।তার অঙ্গভঙ্গি
দেখে মনে হয় ফাউলে সম্মতি দেবার
সম্ভাবনা ক্ষীণ।দুর্দিন।মনে হয় এভাবে
খেলাটি গড়ালে অন্যায় খুঁজে পাবেই
তার স্থায়ী ঠিকানা।
দেখছো,এই চ্যারিটি ম্যাচে রেফারিও
খেলছে বেশ।খেলাধুলার ভবিষ্যৎ নিয়ে
ভাবছো নাকি?বলো,সেটির জলাজ্ঞলি
যেতে আছে নাকি বাকী?
রেফারির শেষ বাঁশি বেজে ওঠার আগে
সকলকে দেখতে হবে মাঠে রেফারি সহ
খেলোয়াড়দের অভিনয় ও অঙ্গভঙ্গি সহ
আরো কত কি!