গোমতীর অবিচ্ছিন্ন জলধারা
পাহাড়-বনানী পেরিয়ে শেষে
নীরবে নিভৃতে সমতলে এসে
অযাচিত ক্লান্তিতে হলো সারা।
সুনীল নভস্থল মাথার উপরে
বনানী সুশোভিত নগ দুধারে
ছবিমুড়ায় এসেই বহতা নদী
নিয়েছে প্রাণ-বায়ু বুক ভরে।
নির্জনতার মাঝে বইছে নদী
উল্লাসে মেতেছে বিহগ-বিহগী
ঝিঁঝিঁ-রা আনন্দে মাতোয়ারা
বইছে শান্তির এক উৎস-ধারা।
কয়েক শতাব্দী আগে একদিন
স্রষ্টার আহ্বানে ভাস্কর্য-শিল্পীরা
ছবিমুড়া এসে স্রষ্টার সীমাহীন
সুখ-সৃষ্টির ব্যাপ্তিতে দিশেহারা।
শিল্পীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে
অসীম ধৈর্য ও নিষ্ঠা সহকারে
ভাস্কর্য গড়েছিলেন নদী তীরে
বিস্তীর্ণ পাহাড়ের শরীর জুড়ে।
নদীর কলধ্বনি,বিহগ-বিহগীর
কলকাকলি ও সুনিবিড় বনানী
নিয়ত ভাস্কর্যের রুদ্র ভৈরবীর
অর্চনায় কাটাচ্ছে দিবস রজনী।
সবুজ বনানী অতিথি সমাদরে
ব্যাকুলতার মাঝেও স্নেহ ভরে
বলে সবাকারে,‘এমন হাস্যময়ী
প্রকৃতি মিলবে না কাছে-দূরে’।