এইতো সে দিন শুনেছি,শার্লক
হোমস এর মতো একজন দুঁদে
গোয়েন্দা নাকি এক শিলালিপি
কুড়িয়ে পাওয়ার পরেই জ্ঞান
পিপাসায় কাতর হয়ে লিপিতে
কী লেখা আছে সেটি জানার
তাগিদে পাগলের মতো অদ্ভুত
এক কাণ্ড করলো।
সেকথা জানার জন্য হচ্ছো কি
উদগ্রীব?তবে বলছি শোনো।তার
কর্মকাণ্ড দেখে লোকে জমালো
ভীড়।তুমিও হয়তো সে সময়
থাকতে পারতে না স্থির।
মন খুঁতখুঁত করছে অথচ সেই
লিপি র ছবিটি তোলার ব্যবস্থা
সাথে না-থাকায়,শুনেছি,মগজে
খানিক শান দিয়ে সে লিপিটি
পাঠোদ্ধারের জন্য বিশল্যকরণী
সহ হনুমানের গন্ধমাদন পর্বত
বয়ে আনার মতো পাথর টিকে
নিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়ে তাকে
ভালো ভাবে অবগাহন করিয়ে
তুললো ঘরে।
তারপর?সেকথা আর বলতে?
জ্ঞানের বাতির সলতে উস্‌কে
দিয়ে একটা আতস কাচ নিয়ে
রাত জেগে গবেষকের মতোই
সেই লিপিটি পাঠোদ্ধার করতে
গিয়ে দেখলো,সে পাথরে নাকি
নাটকের মতো করে লেখা সে
দেশের গল্প কথা।
লেখা আছে তাতে,‘সে দেশের
বাবুরা সকলে মিলে অবকাশে
চারটি খুঁটির উপর মাচা পেতে
বসে খেলতো নাকি এক মজার
পুতুল খেলা।
শুনবে নাকি সে খেলা কেমন?
তবে শোনো!অদ্ভুত মনে হবে।
সে খেলায় তারা তাদের কিছু
সংখ্যক পুতুল-সেনাকে নাচিয়ে
খেলিয়ে দর্শকদিগের মনোরঞ্জন
করিয়ে তারপর সেনাদের তুলে
দিতো তাদেরই একটি ভাড়াটে
সেনাপতির হেপাজতে।
সেনাপতি,সত্যি এক বাঘ বটে!
বাবুদের নির্দেশে সে নাকি তখন
তাদের মনোরঞ্জনের জন্য সেই
দর্শকদের চাবুক কষাতো রোজ
দিনে রাতে।
লেখা আছে,দর্শকেরা সে সময়
কষ্টে করতো চিৎকার।সে দৃশ্য
বাবুরা নাকি উপভোগ করতো
চেটেপুটে।
এই খেলাতে নাকি সাথে সাথে
বাবুদের মনে জাগতো কাজের
জোয়ার!
আরও কী লেখা ছিলো,শুনবে
কি?লেখা ছিলো,বাবুদের কর্ম
প্রচেষ্টায় দেশটি নাকি গ্রহাণুর
মতো কক্ষচ্যুত হয়ে প্রতিনিয়ত
নির্বিকারে ছুটে চলছে মহাশুন্যে
অসীম অন্ধকারের দিকে।