ভাঙ্গলে নদী-বাঁধ, শস্যক্ষেত্র বিনষ্ট হলে প্লাবনে
যখন চাষিদের মূর্ছা যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না,
পরক্ষণে ভাবে ক’জন
কেন এমন দশা হলো?
বাঁধের কোথাও কি কোনও শিথিলতা ছিল?
কারো অবহেলায় কি এই পরিণতি হলো?
দেখেছি সমাজে এমনি কত কী ঘটে
জনগণের দুর্দশা তপ্ত মরুভূমির মতো তেতে ওঠে।
শিক্ষালয়ে পড়লে তালা, কানে লাগে ঝালাপালা
শুনি ‘বেশ হয়েছে,
এমন হবেই তো।
শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে না-এলে
দূরে অন্য স্কুলে চলে গেলে,
এ স্কুলের শিক্ষকেরা কাজে দিলো নাকি ফাঁকি?
কাজ না করেও বসে বসে মাসমাইনে নেবে নাকি?'
রাখ ঢাক না করে বলতে পারি
দেখেছি ঢাকিরাও তালে তালে নেচে বাজায় ঢাক
‘ড্যাং কুরাকুর’, এমনি কত কী ঢাকের বোল
অচিরে জনমানসেও পড়ে ব্যাপক শোরগোল।
দেখি তাদের ভাবতে রইলো বাকি
এমন ক্ষয়িষ্ণু দশা আগে ছিল কি?
কেন এখন এই ছন্দপতন হলো
মেঘ গুরুগুরু ডেকে উঠলো?
চাষাবাদে শস্যশ্যামল জমির ফসল বিনষ্ট হলে
ক’জন ভাবে কোন কালে
পঙ্গপাল দল বেঁধে শস্য ক্ষেত্রে হানা দিলো কিনা?
বলবো কী আর ভাবনার বৈকল্য ঘটলে
দেখা দেবে নাকি সমাজের মারণ ব্যাধি?