কে তুমি এ গভীর রাতে
মনের কুটিরে ঢুকেছ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে?
উত্তরে খিলখিল করে হেসে বললো সে, ‘জিজ্ঞাসা’।
বিগত রাতে ঘটলো এ কাণ্ড।
সেসময় তাকে চলে যেতে বললেও গেল না
বরং ক্রমাগত এ-প্রশ্ন সে-প্রশ্ন করে বিরক্ত করলো।
মুক্তির প্রত্যাশায় ঘাঁটাঘাঁটি করেছি নেট দুনিয়ায়
যদি খুঁজে পাই ঘুমের ঠিকানা।
গুগল সার্চ করেও পাওয়া গেল না।
সে জাঁকিয়ে বসে মনকে কুরে কুরে খেলো
এ প্রশ্নও ছুড়ে দিলো, ‘মানবতা’ স্থির না গতিশীল?
মুশকিল আসানের চেষ্টা করেও লাভ হলো না
বরং দরদর করে ঘাম ঝরলো
তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বলা দুষ্কর।
কে জানে, কখন স্বপ্ন-পরী এসে বসলো শিয়রে  
মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, ‘ সে উত্তর পেতে
যেতে হবে মনের কুটিরে মানবতার ঠিকানায়,
সেখানে গিয়ে দেখতে হবে সে করছে কী?
স্থির না-হলে দেখতে হবে তার গতিবিধি’।
বিলম্ব না-করে পৌঁছে গেছি মনের অন্দরে
সেখানে গিয়ে দেখি স্বপ্ন-পরীও পৌঁছেছে।
অযথা বিলম্ব না-করে লেগে পড়েছি কাজে
খুঁজতে শুরু করেছি মানবতা কে।
পশ্চিমে খুঁজছি দেখে
রেগে বললো সে, ‘ওরে নির্বোধ!
শোন, মানবতার আছে সূর্যের মতো জ্যোতি।
বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে
সেদিকে দেখা যাচ্ছে কি কোনও জ্যোতি?
সেদিকে খুঁজে করবি কী?