ভাবিনি পোষা বিড়াল মিনি ঘটাবে এই কাণ্ড।
মানসম্মান আর বাকি রাখলো কোথায়? মণ্ডের
মতো পাকিয়ে দিয়েছে।
সেই কবে থেকে দুধ ভাত মাছ খাইয়ে পুষেছি
তাকে। আগে কখনো তাকে নিয়ে পড়তে হয়নি
এমন বিপাকে।
খিদে পেলে ম্যাও ম্যাও করে ডাকতো। খাবার
দিলে চুপ করতো নিমেষে।
ছিল তো বেশ বশে। কিন্তু সেদিন তার হলো কি,
কী জানি!
মিনির হয়তো পেয়েছিল খুব খিদে। ম্যাও ম্যাও
ডাকা তো দূরে থাক, মাটিতে আঁচড় কেটে কিংবা
অন্য কোনভাবেই বুঝতে দেয়নি তার পেটে খুব
খিদে, পরিস্থিতি এমনি ভূকম্পনের মতো হচ্ছে
অনুভূত।
হয়তো নিজেকে পারেনি করতে সংযত। হয়তো
ভয় কাজ করতে পারে, পাছে যদি ধমক খেতে
হয়।
হয়তো সাত পাঁচ ভেবে সে সরাসরি চলে গেল
হেঁশেলে। কালেভদ্রে তার পা পড়ে সেখানে।
গন্ধে বুঝতে বিশারদ কোথায় কি খাবার আছে,
বুঝলো শিকেতে ঝুলছে এক বাটি ভাজা মাছ।
লাজলজ্জার আছে নাকি বালাই? মিনি হয়তো
ভেবেছে এমন সুযোগ পেলে মোটেও হাতছাড়া
করতে নেই।
লাফ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো সেই বাটির উপর।
শিকে ছিঁড়লো। জোরালো শব্দও হলো।
বাটি সহ সব মাছ মাটিতে পড়ে খেল গড়াগড়ি।
এরপর মিনি কি আর করতে পারে দেরি?
যতটা পেরেছে ভাজা মাছ গালে পুরে দিলো
দৌড়, যেন একেবারে পগারপার। এখন তার
দেখা মেলা ভার।
কে জানে, কোথায় গিয়ে বসেছে ভোজ সেরে
নিতে। ভাবছে নাকি কী আছে তার বরাতে?
এমন কাণ্ড ঘটালে এখানেই কি থেমে থাকতে
পারে? মাটিতে বাটি পড়ার শব্দে আশেপাশের
সকলে সেখানে এসে জড়ো হয়ে এই তাজ্জব
ব্যাপার দেখে তো অবাক!
দেখা যাক, এরপর পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়।