কে না জানে নেংটি ইঁদুর ধূর্ত খুব
এই নিয়ে যে যতই করুক বিদ্রূপ
ওরা সারা দেয় না
ভাবখানা যেন সেসব ওদের কানে ঢোকে না।
শুধু কি তাই?
ওরা রাতদিন করে দেখায় কতই না জঙ্গিপনা।
হানাদারদের সবসময় নজর
গৃহস্থদের ভাড়ার ঘর,
চাষিদের গোলাঘরও ওদের নজর
থেকে বাদ যায় না।
সুযোগ পেলেই গৃহস্থদের চোখে ধুলো দিয়ে
ফুড়ুৎ করে ঢুকে পড়ে সেই ঘরে।
এবার বলি খোলাখুলি
এইতো সেদিন ঘটলো এমনি এক কাণ্ড
কেউ-ই টের পেলো না।
ক’টি নেংটি ইঁদুর ঢুকলো গৃহস্থদের ভাড়ার ঘরে
সেসময় ঘরে থরে থরে খাবার সাজানো।
সে দৃশ্য দেখে ওরা ভাবলো,
সেখানে বসে খাবে কত?
সব খাবার খেয়ে সাবাড় করা এতোই সহজ নাকি?
তাই বলে গৃহস্থদের জন্য কিছু রেখে যাবে কি?
-নৈব নৈব চঃ,
গয়ংগচ্ছ ভাব দেখাতেও ওদের ইচ্ছা হলো না।
মেঘে ঢাকা আকাশ, তার উপর বন্ধ ভাড়ার ঘর
অন্ধকারে কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না,
এই তো ওদের কাজে নামার সুবর্ণ সুযোগ
তড়িঘড়ি ওরা নেমে পড়লো
ভাড়ার ঘরের খাবার দাবার সরিয়ে
রেখে আসতে ওদের সুবিশাল গর্তে।
ভাবলো ওরা, এ কাজ সেরে বেঁচে বর্তে ফিরলে ঘরে
সারাজীবন খাবারের আর অভাব হবে না।
এ কাজ করছে যখন একাগ্র মনে
ভাড়ার ঘরে কুট কুট শব্দ শুনে
গৃহস্থ টর্চ জ্বেলে সেই ঘরে ঢুকে দেখছে
রসে বসে ওরা খাবার চিবিয়ে খাচ্ছে উল্লাসে।  
শুধু কি তাই? -সকলকে দিয়ে ফাঁকি
বহু খাবারও সরিয়ে ফেলেছে।
কে জানতো, একটা অতিক্ষুদ্র রন্ধ্র পথে
ঘরে ঢুকে ওরা এমন কাণ্ডও ঘটাতে পারে?
এ দৃশ্য দেখেই গৃহস্থের চক্ষু চড়কগাছ!
ভেবেছে সে করবে কী?
এই ধূর্তদের ধরাও সহজ কাজ কি?
ওদের ধরতে গেলে ফুড়ুৎ করে পালিয়ে যাবে।
ভেবেচিন্তে সে ইঁদুর ধরার কল পেতে
দেখছে এখন ‘এবার ওরা করে কী?’