খ্যাতনামা সে এক মৎস শিকারী,
শুনেছি মৎস শিকারে নাই তার জুড়ি।
পুকুর বা জলাশয় দেখে বলে দিতে পারে সরাসরি
সেখানে মাছ ধরতে বঁড়শিতে কোন টোপ কার্যকরী।
এইতো সেদিন আকাশ মেঘে ঢাকা
মেঘের আড়ালে সূর্যের নেই দেখা,
শুরু হয়েছে যখন মেঘের গর্জন
তখন সে ছাতা মাথায় বসেছে মৎস শিকারে।
চারিধারে ছড়িয়ে দিয়েছে উৎকৃষ্ট চার
আর বঁড়শিতে দিয়েছে ‘ধর্মের টোপ’।
বললো সে, 'দেখো এই টোপের কী বাহার!
গভীর জলের মাছ হলেও নেই ছাড়।
কোনও মাছ দুষ্টু হলেও স্বভাবে
ছুটে এসে এই টোপ গিলতে বাধ্য হবে।'
দেখেছি চার ফেলার সাথে সাথে
মাছেদের গতি বইতে শুরু করেছে ভিন্ন খাতে,
ওরা করেনি মোটেও ইতস্তত
পাঁকাল মাছেরাও সেই টোপ গিলতে ব্যস্ত।
বললো সে, এমন হবে নাই বা কেন?
‘ধর্মের টোপ’ একেবারেই অনন্য!
এই টোপে শুধু খাবার নয়, আছে মাদকতা!
বঁড়শিতে মাছ ধরার ইচ্ছা হলে,
জলে চার ছড়িয়ে ছিপ নিয়ে বসলে
কারো মাছ ধরার প্রচেষ্টা যায়নি বৃথা।
পাঁকাল মাছেদেরও নাই নিস্তার,
সাঁই সাঁই শব্দ করে ওরাও ছুটে এসে
এই টোপ গিলতে হয় তৎপর
এই টোপকে মোটেও করা যায় না অনাদর।
দেখো জলের নড়াচড়া
এই টোপে সব মাছেরা দিয়েছে সাড়া।