বলার অপেক্ষা রাখে না
প্রায়শ যে ভাবনা ঘুণপোকাদের মতো
মগজকে রাতদিন কুঁড়ে কুঁড়ে খায়
তাকে কী করে করি অস্বীকার?
যখন একটু অবসর জোটে
অবসন্ন শরীর, নদী তীরে কাল স্রোতে
গোধূলির আগে গা-ভাসিয়ে দিয়ে বসে থাকি।
এই তো সেদিন এভাবে যখন বসেছি
সে সময় নদীকে জিজ্ঞেস করেছি
‘নদী! এ প্রশ্নের উত্তর দেবে কি?
শিক্ষাব্যবস্থা সহ যে কোনও ক্ষেত্রে
কোথাও ভরাডুবি হলে সে দায় কার?
সামান্য ধুলোবালি উড়ে এসে গায়ে লাগলে যা হয়
ফুঁ দিয়ে তাকে ঝেড়ে ফেলি
এ তো তেমন অতি সাধারণ ব্যাপার নয়’।
বললো নদী
‘দেখো, আমি নৌ ভাসিয়ে নিয়ে চলি
নদী পথ বড় বিচিত্র ও আঁকাবাঁকা
কখনো আমি শান্ত,কখনো খরস্রোতা
পরিবেশ ও পরিস্থিতি যখন যেমন।
ক্ষণে ক্ষণে সেটি বদলায়
কখনো সেটি একটু বৈরী হলে
সে সময় অশান্তও হতে পারি।
প্রবল জোয়ার-ভাটায়,ঝড়ে ও বান এলে
মন ও মর্জি কী হতে পারে বলা দুষ্কর!
প্রতিকূল পরিস্থিতি সহ সকল সময়
যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয় সহ
নৌ-যানের নিয়ন্ত্রণের দায়, কাণ্ডারির!
সে কি এ কথা করতে পারে অস্বীকার?
ভেবে দেখো, তার স্বেচ্ছাচারিতায়
কিবা অবহেলায় ঘটতে পারে কত কী
যাত্রীসহ নৌ-যানের ভরাডুবি, সেও।
ভাবো,কাণ্ডারির অজ্ঞতা কিবা দম্ভের কারণে
টাইটানিক জাহাজও সাগরে ডুবলো নাকি?