পাহাড়ের ঝরনা ধারার মতো
ভাবনার অবারিত ধারাপাত    
সহস্র ধারায় সমাজে ছড়িয়ে    
সেথায় নিয়ত বাঁধায় সংঘাত।


সুধা ও সুরা সম নানান ভাবনা
সমাজের শরীরে মেশে সতত।
ওরা সুবিশাল আকাশের মতো,
সমাজও সেসব গিলছে নিয়ত।


সমাজ ঠিক নীলকণ্ঠের মতো        
সহাস্যে ধারণ করে অন্তরায়।
কণ্ঠে ধরে রাখে সব সুরাসার
সন্তানদের বাঁচাতে নেয় দায়।


সুরাসম ভাবনা জমছে ভবে।  
সুধাসম গুলি কি গেছে উবে?    
চারিদিকে অফুরান বিষ বহে
নীলকণ্ঠের শরীর বিষে দহে।


কতটুকু বিষ ভার কণ্ঠে নেবে?
অচিরে তার ভাণ্ডার পূর্ণ হবে।
সমাজটা গরলে তলিয়ে যাবে
তখন তার কী দশা টাই হবে?  


মরবার আগে পতঙ্গের দশা  
সমাজে দুরাচার যেন বাদশা।    
সমাজকে গরলে ডুবিয়ে দিতে  
অসুররা বৈঠক করছে রাতে।