বড়োই প্রতিকূল সময়, নির্দয়।
জনগণের দুর্দশা কালের কূটচালে,
ক্ষয়রোগের মতো ছড়িয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে
আকাশ ঢেকেছে কালো মেঘে।
বাইরে শো-শো শব্দে বইছে প্রবল ঝড়।    
মর মর করে ভাঙ্গছে অভাবী মানুষদের চালাঘর।
কী অবর্ণনীয় অবস্থা! লণ্ডভণ্ড হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
বহু জনপ্রতিনিধি আদতে খল,
তবুও এ সময় তাদের জনদরদী সাজতে ক্ষতি কি?
পর্দার অন্তরালে বসে অবরুদ্ধ করলো বৈকি,
বহু মানুষের জীবন-জীবিকার পথ
চাকুরীর বাজারে তৈরি করলো কৃত্রিম সংকট।  
প্রতারণার ফাঁদ পেতে কেড়ে নিলো
নিরীহ বেকারদের মুখের গ্রাস।
ওরা রাস ধরে রাখতে পারেনি
ওদের লোভ লালসার টগবগে ঘোড়ার।
বলবো কী, 'ওরা সমাজের শিক্ষিত বেকারদের
শ্বাসরোধ করতেও কম প্রচেষ্টা চালালো নাকি?
অফিসে, আইন-আদালতে তাদের ন্যায্য অধিকারে
ওরা প্রতিবন্ধকতা কম করেছে কি?
বহু নিরীহদের গলাও টিপে ধরছে
তবে, অভাবে নয় স্বভাবে
সমাজকে করেছে ছারখার।
পরিস্থিতি যা দাঁড়ালো জনগণ এ দুর্দশা থেকে
উত্তরণের পথ না-খুঁজে করবে কী?
তাদের নামতে হলো যেন যুদ্ধে,
কুরুক্ষেত্রের ধর্মযুদ্ধের মতো ব্যাপার।'
ভাবছো, অদ্যাবধি এ যুদ্ধে ঘটলো কী?
উভয় পক্ষের হলো ব্যাপক ক্ষতি
তবে চক্রব্যূহে এখন বহু রথী-মহারথী।
হয়তো ঘটবে আরো কত কী!
লোকে এখন করছে কানাকানি,
বলছে, 'রথী-মহারথীরা বানে বিদ্ধ,
ঝরঝর করে তাদের রক্ত ঝরছে নিয়ত।
‘জীবন’ নিয়েও চলছে টানাটানি।'
বলছে অনেকে, ‘ওদের সবার দুর্দশা এমনি
ক্ষতে প্রলেপন দিতেও জুটবে কি বিশল্যকরণী?
কী জানি, এ যুদ্ধের পরিণতি কী দাঁড়াবে?'
তবে বলছে অনেকে, ‘সমাজের দুর্ভাগ্য,
নয়তো এমন পরিস্থিতিও হতে পারে
কে, কবে ভেবেছে আগে?’