যে যা-ই বলুক না কেন
চারদিকে রাতদিন চোর ডাকাতের ভয়।
পাড়াপড়শীরা আলোচনা করে সিদ্ধান্তে এলো
প্রহরী রাখলেও চোর ডাকাতের সাথে
কারো যোগসাজশে চুরি ডাকাতি হতে পারে
বরং তার চেয়ে ভালো
নিজেরাই পালা করে দল বেঁধে দিলে পাড়া প্রহরা।
সভাস্থলের বাইরে করিডোরে
এক বৃদ্ধ ঘড়ঘড়াতে তামাক সাজিয়ে
তাতে টান দিতেই ঘড় ঘড় শব্দ হলো, বেশ জোরালো
সেটি যেন চিৎকার করে কিছু বললো
সে দুর্বোধ্য ভাষা, বোঝা দুষ্কর।
সভার সে সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার পর
ক’দিন যেতে না-যেতেই দেখা গেল
সকলের সার্বিক সহযোগিতার অভাবে
সে প্রচেষ্টা বিফল হলো।
পাড়াপড়শীদের পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হলো
বাঁচার তাগিদে জুতসই কুকুর না-পুষলেই নয়।
সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক
সকলে মিলে হন্তদন্ত হয়ে খোঁজাখুঁজি করে
আনলো এক লাইকাস প্রজাতির কুকুর,
তবু চুরি ডাকাতিতে ভুক্তভোগীরা অনেকে উদ্বিগ্ন,
এসব স্বত্বেও কখন কী ঘটে, কী জানি!
সাহস হলো না বিপদাপদকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে
তারা করলো বিপদতাড়িনীর ব্রত পালন
তবুও সুরক্ষা পেলো কৈ?
যা চললো, এ যেন নেপো মারে দই।
পাড়ায় রোজ হচ্ছে চুরি-ডাকাতি
বাদ যায়নি কারো বাড়ি
এখন বন বন করে উড়ছে ‘সর্বনাশ’ ঘুড়ি।
চুরির ধরনধারণ এমনি তারা দেখেছে
চলছে বালি চুরি, পাথর চুরি, গরু চুরি আরও কত কী!
এমন কি চাকরী চুরিও চলছে অবাধে।
ক্ষতির বহর?
সে এতোই ব্যাপক, হিসাব করাও দুষ্কর।