বললো কাকাতুয়া, দেখেছে সে এক দেশে
রাজা কে বলছে বিদূষক,
'হুজুর, কী ভাবছেন?
ওদের নিয়ে পড়েছেন মুশকিলে?
ভাবছেন, ভালোমন্দ খাবার খেতে বসলে
ওরা সে খাবারের গন্ধ পেয়ে কী কাণ্ড করে বসে!
যে যেথায় থাকে তড়িৎ বেগে ছুটে এসে
খাবারের চারপাশে ঘিরে বসে।
রসে বসে আপনার খাওয়ার ও উপায় নাই।
শুধু কি তাই? ওদের খেতে না দিলে
ডাগর ডাগর চোখ করে আপনার মুখের দিকে তাকায়।'
দেখছেন হুজুর
ওরা এখানেই থেমে থাকে না,
সিংহ বিক্রমে যেন গর্জে ওঠে
প্রতিবাদী কণ্ঠে যেন বলতে চায়,
'কেন সব-ই একা বসে খাও?
এ খাবারে আমাদেরও আছে অধিকার।'
'এ কী কাণ্ড!' দেখছি 'ওদের খেতে না দিলে
ওরা লাফিয়ে আপনার কোলে এসে বসে
আপনার পেটে ভালোভাবে হাত বুলিয়ে
বুঝে নিতে চায় কতখানি খেয়েছেন।
হুজুর, ওরা খুবই অবাধ্য, তাই না?
মোটেই আপনার পোষ মানে না?
জানা কথা, আপনার সহ্য হয় না ওদের বিয়াদিপনা
সেসব আপনার সহ্য হওয়ার ও কথা নয়।
ভয় হয়, জনগণের উৎসবে করবেন কী?
কশাই-এর ভঙ্গিতে ওদের কি জবাই করবেন?
জনবহুল প্রকাশ্য রাস্তায় কি রক্তগঙ্গা বইবে?
জনগণ হয়তো জনবহুল রাস্তায়
ওদের মরদেহ শায়িত দেখবে।
আপনার চিরকাল যা মতিগতি,
দিনদুপুরেও আপনি এ কাজ করতে পারেন।
যে কেউ ওদের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে
তাকে ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব হাজির করতে পারেন।
আগে ঢাক বাজিয়ে বহুবার এ কাজ করেছেন,
এখন এ আর নতুন কী?