এ কেমন জীবন?এখন কিং কর্তব্য সব
ভুলে পড়ে আছি অজ্ঞানতার অন্ধকারে।
একেবারে অচেতন!জীবনের মূলধনটুকু
লোপাট হতে পারে যখন তখন।বুকের
ভেতর বানরের মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
প্রাণস্পন্দন।
সব ভাবগতিক দেখে মনে হয় কে যেন
সামনে দাঁড়িয়ে।তার মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ,
কপালে রক্তের টিপ,এক হাতে মুণ্ডুমালা,
অন্য হাতে রক্তমাখা খাঁড়া।সেটি উচিয়ে
ধরে রক্তচক্ষু করেই হুঙ্কার দিচ্ছে যেন
গেরুয়া পোশাকধারী জনেক কাপালিক।
লিকলিকে শরীর। তবুও তাকে দেখেই
মৃত্যু ভয়ে বুক করলো দিব দিব।
বাদুড়ঝোলা এ জীবন।দু’চোখে ও নিদ
নাই, যেন উবে গেছে কর্পূরের মতো।
এভাবে বেঁচে থাকাটা কত যে কষ্টকর
কী করে বোঝাই এখন!
ভুলি কী করে দুঃসময় আসছে তেড়ে?
হিংস্র বন্যদের মতোই নিয়ত তাড়িয়ে
বেড়াচ্ছে চারিদিকে এই সভ্যতার শুরু
থেকে?
চলছে মানুষে মানুষে হানাহানি। যতই
দিন-গড়াচ্ছে ক্রমাগত বাড়ছে সংকট।
দুঃসময় ঘুচবে কবে,কি জানি!
ওই শোনো,ছাদের চিলেকোঠায় বসে
একটি কালো প্যাঁচা ডাকছে নিয়ত।
কর্কশ শব্দ। হয়তো তুলে ধরতে চায়
এ বিশ্বের এক নির্মম চিত্র। বলতেও
কষ্ট হয় মানব সভ্যতার মরণ-কূপকে
ধীরে ধীরে খুঁড়তে গিয়ে মানুষ এখনি
খুঁড়ে ফেলেছে গভীর গর্ত।
চলছে আজও এক রাষ্ট্রের উপর ভিন্
রাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার করার অদম্য
প্রচেষ্টা। ওদের এই তেষ্টা মেটার নয়।
ভাবলে ভয় হয়। চিন চিন করে ওঠে
একেবারে বুকের ভেতর।
বিশ্বজুড়ে যা চলছে এখন প্রলয়ের দিন
গুনি।দেখছো ইউক্রেনে ঘটছে কী? সব
ঘটনাপ্রবাহ দেখে মনে হয় জীবন নিয়ে
চলছে ও চলবে যমে মানুষে টানাটানি।
ওরা অচিরে ডেকে আনতে পারে আর
এক বিশ্বযুদ্ধ।
যাঁতি তে সুপারি কাটার মতো এ সময়
নিরীহ জনগণ যেন বলি-বদ্ধ। এসবের
দায় নেই কারো। ঠারেঠোরে চলতে গিয়ে
রোজ দুস্কৃতিদের কর্মকাণ্ড দেখে জানতে
ইচ্ছা হয় এ বিশ্বের প্রাণীকুল বেঁচে আছে  
কার অনুকম্পায়?