ও বাদুড়, কোথায় ছিলি সারা দুপুর?
তন্নতন্ন করে খুঁজেও দিনভর পাইনি তোর দেখা
শাখামৃগের কাছে শুনেছি
দিনান্তে আঁধার ঘনিয়ে এলে
তোকে আর যায় না রোখা
শিস দিয়ে পইপই পরে উড়ে যাস দূরদূরান্তে।
খুঁজে বেড়াস কোথায় আছে গাছের পাকা ফল
আর পতঙ্গদের পেলে একেবারে আনন্দে বিহ্বল
হয়ে লেগে পড়িস ওদের মাংস ছিঁড়ে খেতে।
এ ভোর রাতে প্রাত্যহিক এ খানদান সেরে
এখন মজেছিস কোন কাজে?
কাকতাড়ুয়ার ভয়? -যদি পড়ে যাস ওদের নজরে?
শিয়রে সংকট দেখা দিতে পারে?
সত্যিই তো, এ অবস্থা হলে তখন
ছুটে পালানোর পথও খুঁজে পাবি না।
সে কারণে কি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে
এখন ঠোঁট মোছার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিস?
ভাবিস কি এ কাজ করে
বন্ধ করবি তথ্য-তালুকের সব কপাট?
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে,
এখন তুই মজেছিস তথ্য লোপাটের কাজে।
বলছে তারা ঘৃনাভরে,
‘ধিক্ , ঘৃণ্য এ কাজের সময়
কাকতাড়ুয়াদের নজরে এলে
লাজে মুখ লাল হওয়া দুরস্ত  
তুই মস্ত বড়ো বাউল সেজে
বেসুরে গান গাইতেও ইতস্তত করিস না মোটে।